উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রচিত এ মিড সামার নাইট'স ড্রিম | গল্প সংক্ষেপ
জবি নাট্যকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রযোজনার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন সঞ্জীব কুমার দে । আলোকচিত্রী: মো. এনামুল হাসান কাওছার |
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রচিত এ মিড সামার নাইট'স ড্রিম | গল্প সংক্ষেপ
গল্পসংক্ষেপ:
ধারণা করা হয় ১৫৯০ থেকে ১৫৯৬ সালের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ের শেক্সপিয়ার রচিত কমেডি এটি। এথেন্সের ডিউক থিসিয়াস ও আমাজনদের রাণী হিপ্পোলিটার বিবাহের পারিপার্শ্বিক ঘটনা অবলম্বনে এই নাটক রচিত। নাটকে দুই প্রণয়ীযুগল ও একদল শখের অভিনেতার অ্যাডভেঞ্চার প্রদর্শিত হয়েছে। এটি শেক্সপিয়রের অন্যতম জনপ্রিয় নাটক ও সারা বিশ্বে অভিনীত। নাটকের মূল ঘটনায় দেখা যায় হার্মিয়া নামের এক যুবতীকে তার পিতা দিমেত্রিয়াস নামের এক যুবকের সাথে বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু হার্মিয়া ভালোবাসে লাইসেন্ডারকে। লাইসেন্ডার ও হার্মিয়া সিদ্ধান্ত নেয় দূরে কোথাও পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত ফাঁস হয়ে যায়।
অন্যদিকে পরী রাজ্যের রাজা ওবেরন ও রাণী টিটানিয়া একটি ভারতীয় বালককে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় মত্ত হয়। ওবেরন রাণী টিটানিয়ার কথায় ক্ষুব্ধ হয় এবং রাণীকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা করে। ওবেরন তার অনুচর পাককে একটি শ্বেতশুভ্র ফুল এনে দিতে বলে। যে ফুলের নির্যাস ঘুমন্ত কারো চোখে এক ফোঁটা ঢেলে দিলেই ঘুম হতে জেগে সে যাকে দেখবে তারই প্রেমে পড়ে যাবে। শ্রমিকদল জঙ্গলে নাটকের মহড়া দিতে এসেছে। পাক ইতিপূর্বে জাদুবলে বটমের মাথাকে গাধার মাথাতে পরিণত করে দেয়। টিটানিয়া গাধারূপী বটমকে দেখেই ভালোবেসে ফেলে। এদিকে লাইসেন্ডার ঘুম হতে জেগে হার্মিয়াকে ভুলে হেলেনাকে প্রেম নিবেদন করে। পরী রাজা ওবেরনের নির্দেশে পাক সবার দৃষ্টি হতে মোহজাল সরিয়ে দেয়। অবশেষে মোহভঙ্গ ঘটে সবার। রাজা থিসিয়াস ও রাণী হিপ্পোলিটার বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেয় এবং একসাথে সবাই শ্রমিক দলের নাটক উপভোগ করে। এমন ত্রিমুখী প্রেমের সংঘর্ষে সৃষ্টি হয় দারুণ এক হাস্যরসাত্মক পরিস্থিতি, যা নাটকটির মূল দিক।
নির্দেশকের কথা:
[জবি নাট্যকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রযোজনার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন সঞ্জীব কুমার দে]
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রযোজনা উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রচিত এ মিডসামার নাইটস ড্রিম। এই নাট্য নির্মাণের ক্ষেত্রে ক্লাসিকের গুরুত্ব অক্ষুন্ন রেখে সমসাময়িক বিষয়কে যুক্ত করার চেষ্টা হয়েছে। কমেডি খুব সহজভাবে হাস্যরসের মধ্য দিয়ে জীবনের অসঙ্গতিগুলোকে সমাজের সামনে প্রকাশ করে। এ মিডসামার নাইটস ড্রিম নাটকের কল্পকাহিনীর মূল বিষয় হলো হাস্যরস এবং প্রেম। প্রেম যেন একটা শৃঙ্খলাহীন হাস্যকর বিষয়। প্রেমে পড়া মানুষ অতি সহজেই জীবনের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে পরিণত হয়। এই নাটকের প্রতিটি চরিত্রই যেন স্বপ্নের ঘোরে বসবাস করে। এ যেন জগৎ নয়, স্বপ্নে দর্শন করা কোনো পরী রাজ্যের বিচরণ।
বটমের ভাষায়- 'Love and reason can't live together' অর্থাৎ প্রেম আর যুক্তির সহাবস্থানের ক্ষেত্রে যে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় এই নাটকে তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে কলাকুশলীবৃন্দ। এই সংকটময় জটিল জীবনে প্রেমের জটিলতা যে হাস্যরস তৈরী করে তা দর্শকমনকে প্রফুল্ল করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
তথ্যসূত্র: ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রযোজনার ব্রুশিয়ার
No comments