সু-শাসন (Good Governance)
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতে সুশাসনের উপাদান
সু-শাসন (Good Governance)
World Bank (বিশ্ব ব্যাংক) সর্বপ্রথম Good Governance বা, সুশাসন শব্দটি ১৯৮৯ সালে উল্লেখ করে। ১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক Governance and Development বা শাসন ও উন্নয়ন নামক একটি প্রতিবেদনে সু-শাসনের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করে।
Governance শব্দটি গ্রিক শব্দ Kubernao (কোবার্নো) থেকে এসেছে; যার অর্থ পরিচালনা করা। Good Governance এর বাংলা শাব্দিক অর্থ দ্বারা- উত্তম শাসন, ভালো শাসন, জনবান্ধব শাসন, কার্যকরী শাসন ও কল্যাণকর শাসনকে বুঝায়।
শাসন:
রাষ্ট্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব প্রয়োগের প্রক্রিয়াকে শাসন বলে।
সুশাসন:
রাষ্ট্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচকভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব প্রয়োগের প্রক্রিয়াকে সুশাসন বলে।
অথবা,
যে শাসন ব্যবস্থায় জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে তাকে সুশাসন বলে।
অথবা,
যে শাসন ব্যবস্থায় জনঅংশদারিত্ব সৃষ্টি হয় তাকে সুশাসন বলে।
অথবা,
যে শাসন ব্যবস্থায় দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন পতিপালিত হয় তাকে সুশাসন বলে।
সুশাসনের পূর্বশর্ত:
১) আইনের শাসন
২) মত প্রকাশের স্বাধীনতা
৩) বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা
৪) অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
৫) অর্থনৈতিক সুবিচার
৬) প্রসাশনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
৭) ন্যায়পাল
৮) নাগরিক সনদ (সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদ)
৯) সরকারের ক্ষমতা ও বৈধতা
১০) গণশুনানি
১১) আমলাতান্ত্রিক দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা
১২) সুশীল সমাজ (Civil Society)
১৩) রেগুলেটরি বডিসমূহের কার্যকারিতা (টেকনিক্যাল সাইট, যেমন- BTRC)
১৪) গণতন্ত্র প্রভৃতি।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের
মতে সুশাসনের উপাদান |
|
কৌটিল্য |
০৪টি |
IDA |
০৪টি |
AFDB |
০৫টি |
UNHCR |
০৫টি |
বিশ্বব্যাংক |
০৬টি |
জাতিসংঘ |
০৮টি |
UNDP |
০৯টি |
কৃতজ্ঞতা:
জনাব, রুস্তম আহমেদ।
লিখেছেন:
মো. এনামুল হাসান কাওছার
শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
No comments