দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

করোনার যাঁতাকলে পিষে গেছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন সংসার


আমার দেশটা ভালো নেই।
ভালো নেই আমার হত দরিদ্র মা-বাবা, ভাই-বোন গুলো। 

করোনার যাঁতাকলে পিষে গেছে দরিদ্র ও  মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন সংসার। এখন ক্ষুধার তাড়নায়,  খাবার খোঁজে ছোট থেকে বড়, বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ   পুরুষ থেকে মহিলা ঘরের বাহিরে। 

সেদিন সকালে ঘড়ির কাটা হয়তো ১১টা হবে এমন সময় মহিলা কন্ঠ বাহির থেকে ভেসে আসে "এই ডিম নিবেন সল্প মুল্যে।"

তাকিয়ে দেখি এক নিকাব পরহিত মহিলা হাতে একটি ডিম ভরতি বাটি,  বরাবরের মত মহিলা টি ডেকে আনার জন্য এক পিচ্ছি পাঠালাম, মহিলা টি আসলেন। 

জিজ্ঞেস করলাম, (যদি ও বাসায় ডিম আছে তবুও জিজ্ঞেস করলাম) কত টাকা হালি?
মহিলাটি বললেন ৩০ টাকা,  দোকানে কিনলে আপনি ৩৫ বা ৩৬ টাকায় কিনবেন তবে আমার কাছে কম। মহিলাটির কথা শুনে অবাক হলাম, জিজ্ঞেস করলাম কম দামে বিক্রি করবেন কেন? বেশি দাম হলে তো আপনার এত কষ্ট করে বিক্রি করাটা কিছুটা সার্থক হবে। 

মহিলাটি আমায় বললেন,  গত পরশু ডিম বিক্রি করতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাই অনেক গুলো ডিম ভেংগে যায় আজও শরীরটা বেশ ভালো না, তারাতাড়ি কইরা বেইচ্চা বাড়ি যামু। 

-আপনি  তো ডিম বিক্রি করেন  ২ /১ টা ডিম তো খেতে পারেন সিদ্ধ করে, অন্তত শরীরে কিছুটা শক্তি পাবেন।
মহিলাটি বলল, না গো। ১ ডিম  একলা না  খেয়ে ডিম বেইচ্চা চাল কিন্না খাইতে পাড়মু। কথা শুনে হৃদয়ে যেন রক্তক্ষরণ হল। চোখে পানি টলমল করছিল। 

আচ্ছা আপনি একটু বসুন!  আমি আসছি। আপু কে গিয়ে বললাম।

অতঃপর মহিলাটিকে এসে বললাম আমাকে ১০ হালি ডিম দেন। মহিলা মুখে যেন হাসি ফুটে উঠলো। 

আহ! আর কতকাল এভাবে কষ্ট করে মানুষ দিনাতিপাত করবে।

লেখক-
শেখ তোহা

No comments

Powered by Blogger.