দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

রোযা সম্পর্কিত জরুরি মাসায়ালা সমূহ


রোযা সম্পর্কিত জরুরি মাসায়ালা সমূহ

✅ রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহঃ-
-
◾১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
◾২ স্ত্রী সহবাস করলে ।
◾৩. কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে।
◾৪. ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
◾৫. নাকে বা কানে ঔষুধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
◾৬. জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
◾৭. ইনজেকশান বা স্যালাইনের মাধ্যমে দেহতে ঔষুধ পৌছালে।
◾৮. কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
◾৯. সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
◾১০. পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
◾১১. দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।
◾১২. ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
◾১৩. মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
◾১৪. রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
-
-
-
✅রোজার মাকরুহ সমূহঃ-
-
◾১. অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা।
◾২. কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা।
◾৩. গড়গড় করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
◾৪. ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গলাধঃকরণ করা।
◾৫. গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফাসাদ করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্থর দিতে অক্ষম।
◾৬. সাড়া দিন নাপাক অবস্থায় থাকা। এটি অত্যন্ত গুনাহের কাজ।
◾৭. অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা।
◾৮. কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা।
-
-
-
✅যেসব কারণে রোজা না রাখলে ক্ষতি নেই তবে কাযা আদায় করতে হবে:
-
* 👉কোনো অসুখের কারণে রোযা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেললে অথবা অসুখ বৃদ্ধির ভয় হলে। তবে পরে তা কাযা করতে হবে।
* 👉গর্ভবতী স্ত্রী লোকের সন্তান বা নিজের প্রাণ নাশের আশঙ্কা হলে রোজা ভঙ্গ করা বৈধ তবে কাযা করে দিতে হবে।
* 👉যেসব স্ত্রী লোক নিজের বা অপরের সন্তানকে দুধ পান করান রোজা রাখার ফলে যদি দুধ না আসে তবে রোজা না রাখার অনুমতি আছে কিন্তু পরে কাযা আদায় করতে হবে।
* 👉শরিয়তসম্মত মুসাফির অবস্থায় রোযা না রাখার অনুমতি আছে। তবে রাখাই উত্তম।
* 👉কেউ হত্যার হুমকি দিলে রোযা ভঙ্গের অনুমতি আছে। পরে এর কাযা করতে হবে।
* 👉কোনো রোগীর ক্ষুধা বা পিপাসা এমন পর্যায়ে চলে গেল এবং কোনো দ্বীনদার মুসলিম চিকিৎসকের মতে রোজা ভঙ্গ না করলে তখন মৃত্যুর আশঙ্কা আছে। তবে রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব। পরে তা কাযা করতে হবে।
* 👉হায়েজ-নেফাসগ্রস্ত (বিশেষ সময়ে) নারীদের জন্য রোজা রাখা জায়েজ নয়। পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।
-
-
✅সপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়?
উওরঃ না, সপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
সেক্ষেত্রে যতদ্রুত সম্ভব ফরজ গোসল করে নিতে হবে।

✅রোজার নিয়তঃ-
-
বাংলায় উচ্চারণঃ-
(নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।)
-
অর্থঃ
আয় আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।
-
মাসআলা:
কেউ যদি ছুবহি ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে
-
-
-
✅ইফতার করিবার নিয়তঃ-
-
বাংলায় উচ্চারণঃ-
(আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন)
-
অর্থঃ-
আয় আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।
-
-
-
✅ইফতার-এর সুন্নত আমলসমূহঃ-
-
➡খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত আমাদের নবীজি খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন ওয়াক্ত হওয়া অর্থাৎ আযান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত।
হাদীছে কুদসী শরীফ-এ রয়েছে,
আল্লাহ পাক বলেছেন:
“আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় ওই ব্যক্তিরাই যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে অর্থাৎ সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার
করে।”
কিন্তু সময় হয়নি এমন অবস্থায় দ্রুত পানাহার করলে ক্বাযা কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
-
➡ইফতার করার পূর্বে তিনবার দুরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে কোন রোযাদারকে ইফতার করানো। এটি একটি অত্যধিক ফযীলতপূর্ণ কাজ.
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিকভাবে রোজাগুলো রাখার তৌফিক দান করুক।🤲আমিন🤲

No comments

Powered by Blogger.