বেশির ভাগ শাস্তিই আমাদের বিনা কারণে পেতে হয়!
আমাদের সমাজটা এমন যে, বেশির ভাগ শাস্তিই আমাদের বিনা কারণে পেতে হয়!
মোঃ সাখাওয়াত হোসেন
প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ স্যারের প্রবাদটি আমাদের সমাজের সাথে রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিনা কারনে সমাজ থেকে প্রাপ্ত শাস্তির এই মাত্রা যেনো আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিশ্বমহামারি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের হার এবং মৃতের হার আমাদের দেশেও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপরের শিরোনামটি সাথে কোভিট-১৯ ভাইরাস এর কারণে সৃষ্ট শাস্তির সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা খুবই দূষ্কর। চলুন মানব সম্প্রদায়ের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ এই উক্তির বাস্তব চিত্র নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক-
তিতুমীর কলেজে অধ্যয়নরত নাজমুল যিনি কিনা তরুণ প্রজন্মের একজন উদীয়মান গণমাধ্যমকর্মী, তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্য। গণমাধ্যমে কাজের সুবিধার্থে এপ্রিল মাস থেকে গুলশান অবস্থান করলেও সাথের রুমমেট দুজনের করোনা পজিটিভ আসায় গণমাধ্যমকর্মী তিনি নিজেও করোনা পরীক্ষা করে দেখেন এবং পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। ফিরে যান পরিবারের কাছে বাসাবো এলাকায়।
পরিবারের সবাইকে আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়ে নাজমুল বাসার মধ্যে হোম কোয়ারান্টাইন থেকে আইইডিসিআর থেকে স্বাস্থ্যপরামর্শ নিচ্ছিলেন নিয়মিত। এরই মধ্যে নাজমুলের করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি এলাকাবাসী ও বাড়িওয়ালা জানতে পারেন। বাড়িওয়ালা খায়রুল প্রথম থেকে বিষয়টি জানার পর হুমকি দিতে থাকে এবং এক পর্যায় ৩মে ফ্ল্যাটে তালা দেন এছাড়াও এলাকাবাসী তালা দেন গেটে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সবুজবাগ থানার ওসির সহযোগিতায় নাজমুলের ফ্ল্যাট ও বাসার তালা খুলে দেওয়া হয়। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে যেন না হয় সে বিষয়ে তাকে আশ্বস্ত করেছেন প্রশাসন।
No comments