অমর মানব | মোশতাক আহমেদ | বুক রিভিউ
লেখক: মোশতাক আহমেদ
মজার ব্যাপার হল, অমর মানব বইটি আমার জ্যামে বসে শেষ করা একটি বই...
বৌদ্ধমন্দির থেকে সদরঘাট কিংবা সদরঘাট থেকে শাহবাগ যেতে রাস্তায় এত জ্যাম
যে, এর মধ্যে বসে বসেই বইয়ের পুরোটা কয়েকদিনে পড়ে শেষ করেছিলাম!
যাইহোক, এবার আসছি অমর মানব বইয়ের
আলোচনায়-
'অমর মানব' বইটির প্রধান চরিত্র হলো, প্রফেসর কিম। তিনি
গবেষণার মাধ্যমে এমন একটা কিছু তৈরী করার চেষ্টা করছিলেন যেটা তারুণ্য ধরে
রাখবে, বয়সকে বাড়তে দিবে না। সেই বস্তুটিতে নাম হল, নিসিলিন। প্রফেসরের
স্ত্রী ইয়ানার এটি তৈরির ব্যাপারে আপত্তি সত্বেও তিনি তা তৈরী করলেন এবং
গিনিপিগ হিসেবে ২টি শিম্পাঞ্জির শরীরে নিসিলিন প্রবেশ করে এর সফল প্রয়োগ
করলেন। এক পর্যায়ে কিম নিজের শরীরে নিসিলিন প্রয়োগ করেন এবং তার বয়স কমতে
শুরু করলো.. কিন্তু নিসিলিন তার শরীরে কাজ করলেও তার অসুস্থ স্ত্রীর শরীরে
কাজ করল না, বরং তার স্ত্রীর মৃত্যু ঘটলো!
যেহেতু কিমের বয়স কমতেই
থাকল, তখন মজার ব্যাপার হলো, ইনিশি নামক একটি মেয়ের সাথে কিমের দেখা হল ৩
বার। বুড়ো বয়সে থাকতে, মধ্যবয়সে থাকতে এবং তরুণ হয়ে যাওয়ার পর এবং কোনোবারই
ইনিশি তাকে চিনলো না বরং নতুন কোনো মানুষ মনে করল!! যে প্রতিষ্ঠান কিমের
গবেষণার জন্যে অর্থ ব্যয় করতো তারা তখন কিমকে খুঁজতে শুরু করলো নিসিলিনের
জন্যে, কিন্তু কিম ততক্ষনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে যে সে আর নিসিলিন তৈরী করবে
না কারণ নিসিলিন প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার কারণ!! যেহেতু ৬৪ বয়সের বুড়ো
হঠাৎ তরুণ হয়ে গিয়েছে কাজেই তাকে কেউ চিনতে পারছিলোনা, তখনই ঘটে বেশ মজার
কিছু কাহিনী!!
শেষ অবদি কি হল? অর্থ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কি
আসলেই কিমকে খুঁজে পেলো? কিমের ক্রমান্বয়ে বয়স কমতে থাকায় কোথায় গিয়ে সে
নিজের জায়গা করে নিলো? নিসিলিন প্রয়োগকারী গিনিপিগ ২টা শিম্পাঞ্জির শেষে কি
অবস্থা হল? ইনিশিরই বা শেষমেশ কি হলো?
হ্যা, গল্পের মেইন ক্লাইমেক্স আসলে এই জায়গা গুলোতেই, কাজেই জানতে হলে পড়তে হবে বইয়ের একদম শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত....
লিখেছেন-
সুমাইয়া আহমেদ,
শিক্ষার্থী বিবিএ (মার্কেটিং ৪র্থ বর্ষ), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments