লাল মানব | মোশতাক আহমেদ | বুক রিভিউ
লেখক: মোশতাক আহমেদ
সাধারণত আমার সাইন্স ফিকশনের প্রতি দুর্বলতা নেই বললেই চলে কিন্তু এই সাইন্স ফিকশন বইটা পড়ার পিছনের কাহিনীটা একটু ভিন্ন! গত কয়েক মাস আগে মোশতাক আহমেদ স্যারের ১টি একক বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়, পাবলিক
লাইব্রেরিতে। সেদিন ছিল উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান, সেখানে স্যার সম্পর্কে সবার
এত ভালো ভালো কথা এবং লেখার প্রশংসা শুনে আর লোভ সামলাতে পারলাম না পড়ার।
এক ফ্রেন্ডের কাছ থেকে স্যারের ২টা বই নিয়ে আসলাম। সেমিস্টার ফাইনাল শেষ
করে পড়তে বসলাম। যদিও সাইন্স রিলেটেড বই পড়তে চিরকাল আলসেমি আমার কিন্তু
অবাক করা বিষয় হলো, এই বইটি নিয়ে যখন বসলাম, তখন যেন আলসেমি কোথায় পালালো!!
তখনই বুঝলাম যে, সবাই কেন এত প্রশংসা করছিলো স্যারের লেখার...
যাইহোক, এবার আসছি, আসল কথায়, মানে লাল মানব বই সম্পর্কে আলোচনায়-
লালমানব
বইটির একদম শুরু থেকে যে বিষয় টা বারবার দেখানো হয়েছে সেটি হলো, লালমানব
আর মানুষের মধ্যে যুদ্ধ, এখন সবার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, লালমানব
বিষয়টা কি?
লালমানব হচ্ছে, হিমিসের আবিষ্কার, যাদের চামড়া খুব পাতলা আর লাল
যা সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না, এবার নিশ্চয়ই ভাবছেন, হিমিস কে?
হিমিস হলো, মানুষের সৃষ্টিকৃত উচ্চ বুদ্ধিমত্তার এক প্রকার রোবট, সেই
রোবটকে তৈরী করা হয়েছিলো, মাটির নিচে মানুষের বাসস্থান উপযোগী করে গড়ে
তোলার জন্যে।
যখন হিমিস এতে সফল হয়, তখন তাকে আরো শক্তি দেয়া হয়।
ফলশ্রুতিতে সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায় এবং মানুষের বিরুদ্ধে যাওয়া শুরু
করে। হিমিস লাল মানবকে প্রস্তত করে, মানুষকে ধ্বংস করার জন্যে, মানব
পৃথিবী দখল করার জন্যে। মানুষের অনেক কিছুই লাল মানবদের দ্বারা ক্রমেই
ধ্বংস হয়ে যেতে থাকে। এমতাবস্থায়, হিমিসকে ধ্বংস করার জন্যে মানুষের একজন
লালমানব দরকার যে হিমিস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে, কিন্তু কোনো লাল মানব কি
আসলেই রাজি হবে হিমিসকে শেষ করে দেয়ার সাহায্য করতে?
এতক্ষন যা বলা হলো, পুরোটাই হলো, কাহিনীটা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা মাত্র!!
এর পর সেখানে লালমানব নিয়ন আসে, লাল মানবী লিলিয়া আসে, অতঃপর মাটির উপরে
আসার পর মিতি, নিয়ার সাথে নিয়নের পরিচয়, হিমিসকে শেষ করার মাস্টার
প্ল্যানসহ আরো গায়ের লোম খাড়া করে দেয়ার মতো অসাধারণ কিছু কাহিনী সেগুলো তো
আছেই !!!
শেষ পর্যন্ত কি হলো? হিমিসকে কি আসলেই ধ্বংস করা গেল? যদি
করা যায় তাহলে কে সাহায্য করলো, কিভাবে আর তার পরিণতি ই বা কি হলো, সব
কিছুর উত্তর জানতে হলে, আপনাকে পড়তে হবে, পুরো বইটি.....
তাহলে আর দেরি কিসের? এই শীতের মধ্যে কাঁথা গায়ে দিয়ে পড়ার জন্যে এইরকম একটি বইটির বিকল্প নেই আসলেই.....
লিখেছেন-
সুমাইয়া আহমেদ,
শিক্ষার্থী বিবিএ (মার্কেটিং ৪র্থ বর্ষ), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments