চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস | হুমায়ুন আহমেদ | বুক রিভিউ
লেখক: হুমায়ুন আহমেদ।
প্রথম প্রকাশ: নভেম্বর, ১৯৯৮।
বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ফরহাদ। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সে। তার উপার্জনেই চলে পুরো সংসার। বাড়িতে তার বাবা, মা, ছোট ভাই মঞ্জু, বৃদ্ধ অসুস্থ দাদা। আর তার বোন জাহানারার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, সে শ্বশুরবাড়িতে। ফরহাদের পরিবার
থাকে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে। ফরহাদের বাবার চরিত্র টা বেশ ইন্টারেস্টিং।
রিটায়ার্ড এর পর তিনি সারাক্ষণ গাছপালা নিয়েই থাকেন। তার সকল চিন্তাভাবনা
বৃক্ষকে ঘিরেই।
আরেকটি অন্যতম চরিত্র, আসমানী। ভীষণ ভালো লাগার একটা
চরিত্র। ফরহাদের প্রেমিকা আসমানী। ফরহাদ যখন তার পাশে থাকে, বিভিন্ন রকম
পাগলামী করে আসমানী। ফরহাদ সেই সব পাগলামী গুলো হাসি মুখে মেনেও নেয়। হুট
করে একদিন আসমানীর মামা চলে আসে বিদেশ থেকে। আসমানীর বিয়ে ঠিক করে ফেলে।
কিন্তু অদ্ভুত কাহিনী করে আসমানী সেই বিয়েটা ফরহাদের সাথেই ঠিক করে।
এদিকে ফরহাদের চাকরী চলে যায়, তাদের যে আত্মীয়ের বাসায় তারা থাকে তারা
তাদের বাসা ডেভেলপার এর কাছে দিয়ে ফেলে। তাই পুরো পরিবারকে বাসা থেকে
বেড়িয়ে যেতে হয়। তারা গিয়ে উঠে তখন ফরহাদের বোনের শ্বশুরবাড়িতে। আর ফরহাদ
থাকে তার বন্ধু নান্টুর সাথে।
অপরদিকে ফরহাদের সাথে আসমানীর বিয়ে ঠিক করার আগেই তার বোন নিজের ননদের সাথে ভাইকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে ফরহাদের সাথে আসমানীর বিয়ের সব কিছু ঠিকঠাক, কিন্তু বিয়ের দিন
আসমানীর অনেক আগের পুরোনো অসুখ আবার দেখা দেয়। বিয়েটা থেমে যায়। তাকে সিংগাপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
তারপর কি হলো? আসমানী কি সুস্থ হয়ে ফিরে
এসে ফরহাদকে বিয়ে করলো নাকি ফরহাদের বিয়ে তার বোনের ননদের সাথেই হল? থাক!
এর পরের টুকু আর নাইবা বললাম...
বইটির কিছু ভালো লাগার লাইন,
"মেয়ের বিয়ে মায়ের সুসংবাদ, ছেলের বিয়ে মায়ের দু:সংবাদ""পৃথিবীতে সবচেয়ে আনন্দময় কষ্ট হলো টাকা গোনার কষ্ট""গরীব স্বামীরা অর্থের অভাব ভালোবাসা দিয়ে পুষিয়ে দিতে চেষ্টা করে""মনের আনন্দে চোখে যে পানি আসে সে পানি খুব দামী পানি""ভুল করে কেউ যদি আনন্দ পায়, সেই ভুলগুলোই শুদ্ধ""বৃষ্টি হচ্ছে মেঘের অশ্রু। মেঘ কাদছে, কারণ মেঘমালার জন্মই হয়েছে কাদার জন্যে"
লিখেছেন-
সুমাইয়া আহমেদ,
শিক্ষার্থী বিবিএ (মার্কেটিং ৪র্থ বর্ষ), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments