চাঁদের পাহাড় | বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় | বুক রিভিউ
বইয়ের নাম: চাঁদের পাহাড়।
লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়।
বইটি নিয়ে রিভিউ লিখতে গিয়ে প্রথমেই যে ভাবনাটা মাথায় এলো তা হলো, যে বইয়ে
এত চমৎকার করে রোমাঞ্চকর ভ্রমণের বর্ণনা দেয়া, সে বই সম্পর্কে লিখার মতো
যথার্থ শব্দভান্ডার আমার কাছে সত্যি নেই।
বইটির অন্যতম প্রধান
চরিত্র শংকর, অজপাড়া গায়ের ছেলে। খেলাধুলা, সাতার, বক্সিং, গাছে উঠা, ঘোড়ায়
চড়াসহ বিভিন্ন ধরণের গুণাবলীতে পরিপূর্ণ একটি ছেলে। এত সব কিছুর বাইরেও
তার অন্যতম আগ্রহ ছিলো, রাজ্যের ম্যাপ ঘাটা ও বড় বড় ভুগোলের বই পড়া। ইচ্ছে
তার দূর দূর দেশে যাওয়ার, দু:সাহসিক কাজ করার। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে তাকে
যেতে হবে অবশেষে পাটকলের কাজ করতে?
নাহ! কোনো এক অদ্ভুত ভাবে তার
জীবনে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে গেলো।
কন্সট্রাকশন ক্যাম্পে কাজের সুবাদে সে
তার বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ পেলো, তাও একেবারে শংকর ঠিক যেমন পরিবেশ
চেয়েছিলো ঠিক তেমনই। নিবিড় বন, স্তব্ধ রাত্রি, পশু-পাখির অবাধ বিচরণ যেথায়।
তারপর বদলি হয়ে পুনরায় সেরকম একটি জায়গায়ই গেলো, যেখানে পরিচয় হলো এক
পর্তুগিজ ডিয়াগো আলভারেজের সাথে। যার অনুপ্রেরণাতেই তার হীরার সন্ধানে
যাত্রা শুরু হলো। সেই যাত্রায় কত বাধা বিপত্তি, পশুদের হঠাৎ করেই আক্রমণ।
এরকম দুর্দান্ত রোমাঞ্চকর কিছু মুহূর্তের বর্ণনা আছে এ বইটিতে।
সব
কিছুর মধ্যে জিম কার্টার, আলভারেজ, আত্তিলিও গ্যাত্তি, শংকর ওরা যারাই
হীরার সন্ধানে এতটা পথ পাড়ি দিয়েছে। কি হলো তাদের শেষ মুহূর্তে? জীবিত ফিরে
এলো নাকি পশুদের আক্রমণে বনেই মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে? অসাধারণ এবং
বৈচিত্র্যময় কিছু কাহিনীর স্বাদ পেতে হলে পুরো বইটি পড়তে হবে আপনাকে।
লিখেছেন-
সুমাইয়া আহমেদ,
শিক্ষার্থী বিবিএ (মার্কেটিং ৪র্থ বর্ষ), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments