আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি | মেগা পোস্ট
আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি অধ্যায়টি যে কোন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পড়ার সুবিধার্থে এই ভাগটিকে ছোট ছোট ১৫টি অংশে ভাগ করে নিলাম।
১) পরিবেশ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
২) বাংলাদেশ ও পরিবেশ
৩) গ্রিন হাঊজ গ্যাস
৪) ওজোন স্তর
৫) গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড
৬) পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দশক
৭) পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক বর্ষ
৮) পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস
৯) আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিষয়ক কূটনীতি-
১০) পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলন
১১) ধরিত্রী সম্মেলন
১২) পরিবেশ বিষয়ক চুক্তি ও সনদ
১৩) অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী
১৪) একনজরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী
১৫) বিগত বছরের ৭৫টি এমসিকিউ
১) পরিবেশ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়ে গঠিত- পরিবেশ। পরিবেশ দু’ভাগে বিভক্ত-১) জড় পরিবেশ ২) জীব পরিবেশ।
জৈব ও অজৈব পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সম্পর্ক সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা করা হয়— ইকোলজি বা বাস্তুবিদ্যায়।
বেচে থাকার প্রয়োজনে কোনো এলাকায় জীব ও জড়ের মধ্যে যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে তাকে বলে-ইকোসিস্টেম বা বাস্তুসংস্থান।
একই ধরনের জলবায়ু, মাটি, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বৃহৎ ও পৃথক বাসযোগ্য ইকোসিস্টেম হলো - বায়োম।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে-প্রাকৃতিক পরিবেশ।
কোনো দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনভূমি থাকা প্রয়োজন– ২৫%
বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ– ১৭%।
পুকুরের ইকোসিস্টেমের একটি বড় উপাদান হচ্ছে— অক্সিজেন।
পরিবেশ দূষণ প্রধানত চার প্রকার– বায়ু দূষণ,পানি দূষণ, মাটি দূষণ ও শব্দ দূষণ।
প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী—মানুষ।
পরবর্তী ৫০ বছরে জাতিসংঘের পূর্বাভাস ৫০ বছরে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৩ ফুট বাড়লে-
ক) বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী একটি অংশ প্লাবিত হবে;
খ) প্রায় ১৭% ভূমি পানির নিচে চলে যাবে;
গ) আনুমানিক ৩ কোটি মানুষ ঘরবাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে।
IPCC এর তথ্যমতে,
ক) ২০৩০ সালের পর নদীর প্রবাহ নাটকীয়ভাবে কমে যাবে;
খ) এশিয়ায় পানির স্বল্পতা দেখা দেবে;
গ) ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২) বাংলাদেশ ও পরিবেশ
বাংলাদেশের পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন হলো— বাপা
পরিবেশ আইনজীবি সমিতির নাম— বেলা (BELA),
বাংলাদেশে পরিবেশ আদালত— ৩টি পরিবেশ
আপিল আদালত— ঢাকা ।
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় পরিবেশ নীতি ঘোষিত হয়– ১৯৯২ সালে
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন গৃহীত হয়— ১৯৯৫ সালে (সর্বশেষ সংশোধন—২০১০)
পরিবেশ বিধিমালা গ্রহণ করা হয়— ১৯৯৭ সালে ।
জাতিসংঘের ২০১৫ অধিবেশনে পরিবেশ বিষয়ক চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কার লাভ করেন—শেখ হাসিনা।
বিশ্ব জলবায়ু সূচক ২০১৯ অনুযায়ী সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ দেশ পুয়ের্তোরিকো বাংলাদেশ ৯ম ঝুকিপূর্ণ দেশ।
৩) গ্রিন হাঊজ গ্যাস
গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধিকে বলা হয়— গ্লোবাল ওয়ারমিং (বৈশ্বিক উষ্ণতা)।
গ্রিন হাউজ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন— ১৮৭৬ সালে সুইডিশ রসায়নবিদ সোভনটে আরহেনিয়াস।
গ্রিন হাউজ হলো— কাচের তৈরি ঘর যার ভিতরে গাছপালা লাগানো হয়
গ্রিন হাউজ ব্যবহার করা হয়- শীত প্রধান দেশে তীব্র ঠাণ্ডা থেকে গাছপালাকে রক্ষা করার জন্য।
গ্রিন হাউজ ইফেক্টের কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুতর যে ক্ষতি হবে— সমুদ্রের পানি উচ্চতা বেড়ে গিয়ে নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে।
গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী গ্যাসমূহ হলো—
ক) কার্বন ডাই অক্সাইড- ৪৯%
খ) মিথেন- ১৮%
গ) ক্লোরোফ্লোরো কার্বন /ফ্রেয়ন/CFC- ১৪%
ঘ) নাইট্রাস অক্সাইড- ০৬%
ঙ) অন্যান্য (জলীয় বাষ্প)- ১৩%
৪) ওজোন স্তর
ওজোন স্তরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে— ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC);
CFC সক্রিয় থাকে ৮০-১৭০ বছর।
CFC আবিষ্কার করেন-Professor T. Midgley;
CFC বিহীন ফ্রিজকে বলা হয়— পরিবেশবাদী ফ্রিজ।
পরিবেশ দূষণরোধ করার জন্য বর্তমানে CFC’র পরিবর্তে যে গ্যাস ব্যবহার করা হয় - গ্যাজোলিয়াম।
CFC বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তর ধ্বংসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়- ১৯৭৩ সালে।
CFC ব্যবহৃত হয়- রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার, এয়ারকন্ডিশন, ইনহেলার, এরোসলে।
৫) গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় Green Climate Fund বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য মঞ্জুর করেছে– ১০০ মিলিয়ন ডলার।
গ্রীন ফ্লাইমেট ফাণ্ড গঠনের অঙ্গীকার করা হয়— কোপেন হেগেনে (COP-এর ১৫তম সম্মেলনে)।
COP -১৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে মেক্সিকোর কানকুন শহরে। এই সম্মেলনে Green Climate Fund গঠিত হয়।
২০০৯ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে এ COP-১৫ সম্মেলন হয়, যেখানে ভৃ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় প্রতিবছর ১০০বিলিয়ন ডলার প্রদান করা হবে—২০২০ সাল হতে।
৬) পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দশক
২০০৫ -২০১৪- দ্বিতীয় বিশ্ব আদিবাসী দশক, টেকসই উন্নয়নে জন্য শিক্ষা দশক, জীবনের জন্য পানি দশক
২০০৬-২০১৬ – সমস্যা সঙ্কুল অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন ও পুনর্গঠন দশক
২০১০-২০২০- খরা ও মরুকরুনণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দশক
২০১১-২০২০- নিরাপত্তা সড়ক দশক, জীব বৈচিত্র দশক ,তৃতীয় আন্তর্জাতিক ঔপনিবেশিক সুলভ আচরন দূরীকরুনণ দশক
৭) পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক বর্ষ
২০১৪- আন্তর্জাতিক পারিবারিক খামার বর্ষ
২০১৩- আন্তর্জাতিক কিনুয়া, আন্তর্জাতিক পানি সহযোগিতা বর্ষ
২০১২-সকলের জন্য টেকসই জ্বালানি বর্ষ
২০১১- আন্তর্জাতিক বন বর্ষ
২০১০- আন্তর্জাতিক বাঘ বর্ষ
২০০৯- আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক আঁশ বর্ষ
২০০৮- ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ প্ল্যানেট আর্থ, আন্তর্জাতিক আলু বর্ষ,আন্তর্জাতিক স্যানিটেশন বর্ষ,
২০০৬- আন্তর্জাতিক খরা ও মরুভুমি বর্ষ
২০০৪- আন্তর্জাতিকধান বর্ষ
২০০৩- আন্তর্জাতিক জীবাণুমুক্ত বর্ষ
২০০২- আন্তর্জাতিক পর্বত বর্ষ ,আন্তর্জাতিক ইকোট্যুরিজম বর্ষ
১৯৯৮- আন্তর্জাতিক সমুদ্র বর্ষ
৮) পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস
বিশ্ব জলাভূমি দিবস– ২ ফেব্রুয়ারি,
বন দিবস– ২১ মার্চ
পানি দিবস – ২২ মার্চ
আবহাওয়া দিবস– ২৩ মার্চ
ধরিত্রী দিবস– ২২ এপ্রিল
জীববৈচিত্র দিবস– ২২ মে
মরুকরুনণ ও খরা প্রতিরোধ দিবস– ১৭ জুন
হাইড্রোগ্রাফিক দিবস– ২১ জুন,
বাঘদিবস—২৯ জুলাই,
ওজন স্তর সংরক্ষণ দিবস– ১৬ সেপ্টেম্বর
দুর্যোগ প্রশমন দিবস– ১৩ অক্টোবর
টয়লেট দিবস– ১৯ নভেম্বর
কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ দিবস– ৩ ডিসেম্বর।
আর্থ আওয়ার— মার্চের শেষ শনিবার
আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস– এপ্রিলের যে কোন বুধবার।
৯) পরিবেশ বিষয়ক কূটনীতি-
পরিবেশ বিপর্যয় ও তার পরিপতি সম্পর্কে মানুষের ক্রমবর্ধমান সচেতনতা থেকেই উৎপত্তি লাভ করে—পরিবেশ কূটনীতির ধারণা।
পরিবেশ বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি দায়ী— শিল্পোন্নত বিশ্ব।
পরিবেশ কূটনীতির ধারণা উদ্ভবে মাইলফলকের ভূমিকা পালন করে— ধরিত্রী সম্মেলন।
জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বের প্রথম পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে।
পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা Green Belt Movement প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে।
এর প্রতিষ্ঠাতা ওয়াঙ্গেরি মাথাই যিনি ২০০৪ সালে শান্তিতে নোবেল পান।
পরিবেশ সচেতনতা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে জার্মানির পরিবেশবাদী সংগঠন German Watch
পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে GEF বা Global Environment Facility
পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা Green Cross International প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে।এর প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ
তেজস্ক্রিয় পদার্থ তথা পারমাণবিক বোমা তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত হয় CTBT বা Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty.
নাগোয়া প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয় ২০১০ সালে।এটি কার্যকর হয় ২০১৪ সালে।
১২ নভেম্বর, ২০১৪ সালে USA এবং China র মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ রোধ চুক্তি হয়। এই চুক্তিতে USA ২০২৫ সালের মধ্যে তারা ২০০৫ সালের তুলনায় ২০-২৮% গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনার কথা বলে।
অপরদিকে চীন কোনরূপ লক্ষ্য ঠিক না করে ২০৩০ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনার কথা বলে।বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশী গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করে China এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে USA.
UNEP
UNEP-এর পূর্ণরূপ – United Nations Environment Programme
প্রতিষ্ঠা-১৯৭২ সালে
সদর দপ্তর— নাইরোবি, কেনিয়া।
IUCN
IUCN এর পূর্ণ রূপ– International Union for Conservation of Nature
প্রতিষ্ঠা- ৫ অক্টোবর, ১৯৪৮ সালে
সদরদপ্তর-Gland, Switzerland
IUCN’র কাজ হলো – পরিবেশ সংরক্ষণকারী সংস্থা।
IMO
IMO এর পূর্ণ রূপ– International Maritime Organization
প্রতিষ্ঠা- ১৯৪৮ সালে
IMO’র কাজ হলো – নৌ চলাচল সংক্রান্ত বিষয়াবলী।
IPCC
IPCC এর পূর্ণরূপ – Intergovernmental Panel on Climate Change.
IPCC শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে— ২০০৭ সালে।
WMO এবং UNEP-এর যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়— IPCC (১৯৮৮ সালে)
জলবায়ু সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের নাম – IPCC
এটি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশ্বের সর্বোচ্চ সংস্থা।
WMO
WMO এর পূর্ণ রূপ– World Meteorological Organization
প্রতিষ্ঠা- ১৯৫০ সালে
সদরদপ্তর-Gland, Switzerland
প্রতিষ্ঠাকালীন নামঃ International Maritime Organization (IMO)
WMO’র কাজ হলো – জাতিসংঘের আবহাওয়া বিষয়ক বিশেষয়িত সংস্থা।
Green Peace
টেকসই পরিবেশ উন্নয়নকল্পে ১৯৭১ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে Green Peace
পরিবেশবাদী সংগঠন Greenpeace যে দেশের – আর্মস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস।
World Watch
বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে ১৯৭৪ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক পরিবেশবাদী গ্রুপ World Watch
WWF
WWF এর পূর্ণরূপ –World Wide Fund for Nature (পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক সংস্থা)
প্রতিষ্ঠা -২৯ এপ্রিল, ১৯৬১ সালে।
সদর দপ্তর-Gland,Switzerland
Fund For Wild Nature
প্রতিষ্ঠা -১৯৮২ সালে।
সদরদপ্তর- পোর্টল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র।
Water Aid
প্রতিষ্ঠা-১৯৮১ সালে।
কাজ- বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করা।
সদর দপ্তর- ব্রিটেন
UNFCCC
UNFCCCএর পূর্ণ রূপ -UNFCCCবা United Nations Framework Convention on Climate Change.
জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৯২ সালে স্বাক্ষরিত হয় (ধরিত্রী সম্মেলন, রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল)
এটি কার্যকর হয় ১৯৯৪ সালে।
বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে ১৯৯২ সালে এবং অনুমোদন করে ১৯৯৪ সালে।
সদর দপ্তর- বন, জার্মানি।
দুটি চুক্তি গৃহীত হয়-
ক) কিয়োটো প্রটোকল (১৯৯৭)
খ) প্যারিস চুক্তি- ২০১৫
১০) পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলন
১৯৭২ সালে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিত হয়— জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন (UNCHE)
২০০০ সালে বিশ্ব পরিবেশ বিষয়ক হেগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে।
২০০৭ সালে বালি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শহর বালি দ্বীপে।
বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কোপ-১৫ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়—ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ১৬তম কানকুন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়— মেক্সিকোর কানকুন শহরে।
১১) ধরিত্রী সম্মেলন
পরিবেশ ও উন্নয়ন নিয়ে ১৯৯২ সালের (৩-১৪) জুন পর্যন্ত ব্রাজিলের রিওডিজেনেরিও তে বিশ্বের প্রথম ধরিত্রী সম্মেলন হয়।
একবিংশ শতাব্দীর পরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক দলিল প্রনয়ন করা হয় ১৯৯২ সালে যা Agenda-21 নামে পরিচিত।
জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্ব জলবায়ু অনুষ্ঠিত হয় যা সংক্ষেপে COP বা Conference Of the Parties নামে পরিচিত।
COP -১ প্রথম সম্মেলন হয় ১৯৯৫ সালে জার্মানির বার্লিনে।
১৯৯২ সালের ৩-১৪ জুন ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও-তে পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলন (UNCED) অনুষ্ঠিত হয়, যা—ধরিত্রী সম্মেলন নামে পরিচিত।
১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয় পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলন– ধরিত্রী সম্মেলন+৫ ৷
বিশ্ব টেকসই উন্নয়ন সম্মেলন- (World Summit on Sustainable Development) অনুষ্ঠিত হয়—২০০২ সালে রিও+১০ ।
২০১২ সালে অনুষ্ঠিত হয় রিও+২০ (ব্রাজিলে), যার মূল নাম– ইউনাইটেড নেশন কনফারেন্স অন সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট’।
১২) পরিবেশ বিষয়ক চুক্তি ও সনদ
কিয়োটো প্রটোকল
১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর জাপানের প্রাচীন রাজধানী কিয়োটো নগরীতে COP এর তৃতীয় বৈঠকে Kyoto Protocol স্বাক্ষরিত হয় উন্নত দেশগুলো ১৯৯০ সালকে ভিত্তি বছর ধরে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ ৫.২% হারে কমাবে।
COP-১৮ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে কাতারের রাজধানী দোহাতে।
COP-১৮ সম্মেলনে Kyoto Protocol এর মেয়াদ ২০১২ থেকে বাড়িয়ে ২০২০ সালে উন্নীত করা হয়।
একে বলা হয় দোহা সংশোধনী।
কিয়েটো প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়— ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭;
কার্যকরুন হয়— ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫;
মেয়াদ– ২০২০ পর্যন্ত
মন্ট্রিল প্রটোকল
মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়- ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭।
মন্ট্রিল প্রটোকল হলো— বায়ুমণ্ডলের স্ট্যাটোস্ফিয়ারিক স্তরে অবস্থিত ওজনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রন বিষয়ক প্রটোকল।
ভিয়েনা কনভেনশন
১৯৮৫ সালের ২২ মার্চ– অস্ট্রিয়ায় জাতিসংঘের ওজোন স্তরের সুরক্ষা ও সংরক্ষণে ঐতিহাসিক ভিয়েনা কনভেনশন গৃহীত হয়।
বাসেল কনভেনশন
১৯৮৯ সালের ২২ মার্চ– সুইজারল্যান্ডের বাসেল কনভেশন গৃহীত হয় যার লক্ষ্য বিপজ্জনক বর্জ্য দেশের সীমান্তের বাইরে চলাচল এবং এদের নিয়ন্ত্রণ।
বাংলাদেশ বাসেল কনভেনশন সমর্থন করে– ১৯৯৩ সালে।
কার্টাগোনা প্রটোকল
২০০০ সালের ২৯ জানুয়ারি— কানাডার মন্ট্রিলে কাটাগোনা প্রটোকল গৃহীত হয় এবং ২০০৩ সাল হতে কার্যকর হয়।
এটি কার্যকর হয় ২০০৩ সালে।
বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে ২০০০ সালে এবং অনুমোদন করে ২০০৪ সালে।
কার্টাগোনা প্রটোকল হচ্ছে— জাতিসংঘের জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি।
জীব বৈচিত্র্য কনভেনশন
৫ জুন, ১৯৯২– ব্রাজিলে জীব বৈচিত্র্য সংক্রান্ত কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯৩ সালে কার্যকরুন হয়।
বাংলাদেশ– ১৯৯২ সালে জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত কনভেনশন স্বাক্ষর করে এবং ১৯৯৪ সালে অনুমোদন করে।
রামসার কনভেনশন
রামসার কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয় ১৯৭১ সালে এবং এটি কার্যকর হয় ১৯৭৫ সালে
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন
জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৮২ সালে প্রনীত হয় আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন UNCLOS বা United Nations Convention on the Law Of the sea
আন্তর্জাতিক নদী আইন
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী আইন হলো-The convention on the law of non-navigational Watercourses.
জাতিসংঘ আইনটি প্রণয়ন করে- ১৯৯৭ সালে।
কার্যকর হয় -২০১৪ সালে।
প্যারিস চুক্তি
COP-২১ সম্মেলন হয় ২০১৫ সালে প্যারিসে এবং এ সম্মেলনে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও তা স্বাক্ষর হয়নি
তা স্বাক্ষরিত হয় ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি বা তার নীচে রাখার সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়– ২১০০ সাল পর্যন্ত।
২ জুন, ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন।
১৩) অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী
জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির ব্যাপকতা তুলে ধরার জন্য সমুদ্রের গভীরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে– মালদ্বীপ ২০০৯ সালে।
হিমালয়ের চূড়ায় বৈঠক করে— নেপাল।
ই-৮ হলো- পরিবেশ দুষণকারী ৮টি দেশ ।
বায়ুমণ্ডলে কার্বনডাই অক্সাইডের স্বাভাবিক পরিমাণ— ০.০৩ শতাংশ।
কোনো প্রাণী বাচতে পারেনা বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ– ২৫% এর বেশি হলে ।
বায়ুদূষণের জন্য প্রধান দায়ী কার্বন-মনোক্সাইড, গাড়ি নির্গত কালো ধোয়ায় বিদ্যমান বিষাক্ত গ্যাস হচ্ছে কার্বন মনোঅক্সাইড।
শব্দদূষণ সৃষ্টি হয় শব্দের মাত্রা -৮০ ডেসিবেলের বেশি হলে
সর্বোচ্চ যে শ্রুতিসীমার ওপরে মানুষ বধির হতে পারে— ১০৫ ডেসিবেল ।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষণকারী দেশ– চীন।
আর্কটিক-এর বরফ গলে যাওয়ার কারণ–বৈশ্বিক উষ্ণতা
যে জ্বালানি পোড়ালে সালফার ডাই-অক্সাইড বাতাসে আসে - ডিজেল।
পরিবেশ দূষণকারী ৮টি দেশকে একত্রে বলা হয় - ই-৮ ।
Fridays For Futureআন্দোলনের সূচনা করে - গ্রেটা থানবার্গ।
এক নজরে এই অধ্যায়ের রিভিউ
গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো মনে রাখার উপায়ঃ
১৯৪০-১৯৫০:
১) IMO-1948
২) IUCN-1948
১৯৫০-১৯৬০:
১) WMO-1951
১৯৬০-১৯৭০:
১) WWF-1961
১৯৭০-১৯৮০:
১) Greene Peace-1971
২) UNEP-1972
৩) World Watch- 1974
১৯৮০-১৯৯০:
১) Water Aid-1981
২) Fund for Wild Nature-1982
৩) IPCC- 1988
১৯৯০-২০০০:
১) UNFCCC-1992
গুরুত্বপূর্ণ কপ সম্মেলন এবং কেন গুরুত্বপূর্ণঃ
১) প্রথম কপ-১ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় - ১৯৯৫ সালে, বার্লিন, জার্মানিতে। এটি কপের প্রথম সম্মেলন।
২) কপ-১৫ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় - ২০০৯ সালে, কোপেনহেগেন, ডেনমার্কে। এই সম্মলনে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠন করার অঙ্গিকার করা হয়।
৩) কপ-১৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় - ২০১০ সালে,কানকুন, মেক্সিকো। এই সম্মলনে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠন করা হয়।
৪) COP-১৮ সম্মেলনে (কাতারের রাজধানী দোহাতে) Kyoto Protocol এর মেয়াদ ২০১২ থেকে বাড়িয়ে ২০২০ সালে উন্নীত করা হয়।
একে বলা হয় দোহা সংশোধনী।
৫) কপ-২১ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় - ২০১৫ সালে,প্যারিস, ফ্রান্সে। এই সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি গৃহীত হয়। সদস্য-১৯৫ টি দেশ।
৬) কপ-২৫ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় - ২০১৯ সালে,মাদ্রিদ, স্পেনে। প্রথমে এই সম্মেলনটি চিলির সান্টিয়াগোতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
৭) কপ-২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে – নভেম্বর ২০২০ সালে, গ্লাসগো, ব্রিটেনে। সাম্প্রতিক তথ্য।
বাংলাদেশের পরিবেশের নীতি , আইন, বিধিমালা মনে রাখার উপায়ঃ
নআবি –
নীতি-১৯৯২
আইন-১৯৯৫
বিধিমালা-১৯৯৭
কার্বন কর বনাম কার্বন সূচকঃ
অস্ট্রেলিয়া ২০১২ সালে কার্বন ট্যাক্স চালু করলেও ২০১৪ সালে তা প্রত্যাহার করে নেয়।
কার্বন সূচক চালু করে ভারত।
সিঙ্গাপুর ২০১৯ থেকে এই কার্বন কর আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারও কার্বন কর চালু করার কথা চিন্তা করছে।
পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে জলবায়ু ট্রাস্ট গঠন বাংলাদেশ, ২০১০ সালে।
কোন চুক্তি ও প্রটোকলের কি কাজ?
বিপজ্জনক বর্জ্য দেশের সীমান্তের বাইরে চলাচল এবং এদের নিয়ন্ত্রণ? -বাসেল কনভেনশন।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি বা তার নীচে রাখার সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়?- প্যারিস চুক্তি (সবচেয়ে বড় চুক্তি)।
গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ ৫.২% হারে কমাবে ও কার্বন নিঃসরণ কমাবে- কিয়োটো প্রটোকল।
জাতিসংঘের জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি- কার্টাগোনা প্রটোকল।
ওজনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রন বিষয়ক প্রটোকল- মন্ট্রিল কনভেনশন।
জাতিসংঘের ওজোন স্তরের সুরক্ষা ও সংরক্ষণে -ভিয়েনা কনভেনশন।
জীব বৈচিত্র্য সংক্রান্ত কনভেনশন- জীব বৈচিত্র্য কনভেনশন।
পরিবেশ সংরক্ষণকারী সংস্থা-IUCN
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশ্বের সর্বোচ্চ সংস্থা- IPCC (UNEP+WMO)
জাতিসংঘের আবহাওয়া বিষয়ক বিশেষয়িত সংস্থা-WMO।
১৫) বিগত বছরের প্রশ্নঃ
১) গ্রিনপিস একটি-
ক. যুদ্ধ জাহাজ
খ. পরিবেশ আন্দোলন গ্রুপ
গ. সবুজ বিপ্লবের নাম
ঘ. বন সৃষ্টিতে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান
২) ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন বা COP-26 এর আয়োজক দেশ কোনটি?
ক. জার্মানি
খ. জাপান
গ. ব্রিটেন
ঘ. ফিজি
৩) ‘V20’ গ্রুপ কিসের সাথে সম্পর্কিত?
ক. কৃষি উন্নয়ন
খ. দারিদ্র বিমোচন
গ. জলবায়ু পরিবর্তন
ঘ. বিনিয়োগ সম্পর্কিত
উত্তরঃ গ
৪) ‘গ্রিনপিস’ যাত্রা শুরু করে-
ক. ১৯৪৫
খ. ২০১১
গ. ২০১৩
ঘ. ১৯৭১
৫) ‘Law of the Sea Convention’ অনুযায়ী উপকূল থেকে কত দূরত্ব পর্যন্ত Exclusive Economic Zone’ হিসেবে গণ্য?
ক. ২২ নটিক্যাল মাইল
খ. ৪৪ নটিক্যাল মাইল
গ. ২০০ নটিক্যাল মাইল
ঘ. ৩৭০ নটিক্যাল মাইল
৬) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
ক. ওয়শিংটন
খ. নিউইয়র্ক
গ. জেনেভা
ঘ. রোম
৭) ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপ-২১ এ কত সংখ্যক জাতি অংশগ্রহণ করেছিল?
ক. ১৯৩
খ. ১৬৮
গ. ১৯৯
ঘ. ১৯৬
৮) জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কত সালে স্বাক্ষরিত হয়?
ক. ১৯৭৯ সালে
খ. ১৯৮২ সালে
গ. ১৯৮৩ সালে
ঘ. ১৯৯৮ সালে
৯) W.R.I’ কি?
ক. জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচী
খ. বন সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান
গ. প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী
ঘ. জাতিসংঘের পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে গৃহীত কর্মসূচী
১০) UNEP এর সদর দপ্তর-
ক. ম্যানিলা
খ. ওয়াশিংটন
গ. ভিয়েনা
ঘ. নাইরোবি
১১) ২০০২ সালে দ্বিতীয় ধরিত্র শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কোথায়?
ক. চীনের বেইজিংয়ে
খ. ভারতের নয়াদিল্লিতে
গ. দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গে
ঘ. জাপানের হিরোশিমায়
উত্তরঃ গ
১২) ‘মিস আর্থ’ প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য কি?
ক. নারী সচেতনতা বৃদ্ধি
খ. সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি
গ. স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি
ঘ. পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি
১২) প্রতি বছর অক্টোবর মাসের কোন দিন বিশ্ব প্রতিবেশ দিবস পালিত হয়ে থাকে?
ক. প্রথম সোমবার
খ. দ্বিতীয় সোমবার
গ. তৃতীয় সোমবার
ঘ. চতুর্থ সোমবার
১৪) আন্তর্জাতিক আলোক বর্ষ কোন সাল?
ক. ২০১৯ সাল
খ. ২০২০ সাল
গ. ২০১৮ সাল
ঘ. ২০১৫ সাল
১৫) নিম্নলিখিত কোনটি International mother Earth day?
ক. ১৮ এপ্রিল
খ. ২০ এপ্রিল
গ. ২২ এপ্রিল
ঘ. ২৪ এপ্রিল
১৬) কোন তারিখে আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস পালিত হয়?
ক. ৫ জুলাই
খ. ২১ মার্চ
গ. ৫ জুন
ঘ. ২১ জুন
১৭) আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস কোন মাসে কত তারিখে পালিত হয়?
ক. ২২ জুলাই
খ. ২৮ জুলাই
গ. ১৭ জুলাই
ঘ. ১৬ সেপ্টেম্বর
১৮) বিশ্ব সুনামি সচেতনতা দিবস কবে?
ক. ৫ নভেম্বর
খ. ১৫ অক্টোবর
গ. ১৫ নভেম্বর
ঘ. ১০ অক্টোবর
১৯) বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস কবে?
ক. ২৮ শে ফেব্রুয়ারী
খ. ২৭ শে ফেব্রুয়ারী
গ. ১ মার্চ
ঘ. ২ মার্চ
২০) রিওডি জেনিরিওতে অনুষ্ঠিত ‘ধরিত্রী সম্মেলন’ -এ কত দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিলেন?
ক. ১৫০
খ. ১৫৬
গ. ১৭৮
ঘ. ১৭৯
২১) ক্রমহ্রাসমান হারে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী উপাদান বিলীনের বিষয়টি কোন চুক্তিতে বলা হয়েছে?
ক. মন্ট্রিল প্রোটকল
খ. ক্লোরোফ্লোরো কার্বন চুক্তি
গ. IPCC চুক্তি
ঘ. কোনটিই নয়
২২) কোন দেশ সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় অন্যদেশে জমি ক্রয়ের চিন্তা করছে-
ক. শ্রীলংকা
খ. মালদ্বীপ
গ. ফিজি
ঘ. কোনটিই নয়
২৩) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় Green Climate Fund বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য কি পরিমাণ অর্থ মঞ্জুর করেছে?
ক) ৮০ বিলিয়ন ডলার
খ) ১০০ বিলিয়ন ডলার
গ) ১৫০ বিলিয়ন ডলার
ঘ) ২০০ বিলিয়ন ডলার
২৪) বিশ্বব্যাংক অনুযায়ী ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্ব সাহায্যের কত শতাংশ বাংলাদেশকে প্রদান করবে ?
ক) ৩০%
খ) ৪০%
গ) ৫০%
ঘ) ৬০%
২৫) গ্রিন হাউজ ইফেক্টের কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুতর ক্ষতি কী হবে?
ক) উত্তাপ অনেক বেড়ে যাবে
খ) বুষ্টিপাত কমে যাবে গ) নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে
ঘ) সাইক্লোনের প্রবণতা বাড়বে
২৬) জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে বায়ুমন্ডলে যে গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে-
ক) জ্বালানি বাষ্প
খ) ক্লোরোফ্লোরো কার্বন
গ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড
ঘ) মিথেন
২৭) “কার্টাগেনা প্রোটকল” হচ্ছে -
ক) জাতিসংঘের যুদ্ধ মোকাবিলা সংক্রান্ত চুক্তি
খ) জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক চুক্তি
গ) জাতিসংঘের নারী অধিকার বিষয় প্রটোকল
ঘ) জাতিসংঘের জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি
২৮) গ্রীস পিস (Green Peace) কোন দেশ ভিত্তিক পরিবেশবাদী সংস্থা?
ক) নরওয়ে
খ) পোল্যান্ড
গ) নিউজিল্যান্ড
ঘ) নেদারল্যান্ড
২৯) IUCN এর কাজ হল বিশ্বব্যাপী -
ক) প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা
খ) আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমন করা
গ) পানি সম্পদ সংরক্ষণ করা
ঘ) মানবাধিকার সংরক্ষণ করা
৩০) মাথাপিছু গ্রিন হাউজ গ্যাস উদগীরণে সবচেয়ে বেশী দায়ী নিচের কোন দেশটি?
ক) রাশিয়া
খ) যুক্তরাষ্ট্র
গ) চীন
ঘ) জার্মানি
৩১) জাতিসংঘ পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা (UNEP) ও জলবায়ু বিষয়ক সংস্থা (WMO) এর মিলিত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ?
ক) IPCC
ক) MIGA
গ) Green Peace
ঘ) Paris Pact
৩২) সমুদ্রপৃষ্ঠ ৪৫ সে.মি বৃদ্ধি পেলে ২০৫০ সাল নাগাত বাংলাদেশে “Climate Refugee” হবে?
ক) ৩ কোটি
খ) ৩.৫০ কোটি
গ) ৪ কোটি
ঘ) ৪.৫০ কোটি
৩৩) গ্রিণ হাউজ কী?
ক) কাচের তৈরি ঘর
খ) সবুজ আলোতে আলোকিত ঘর
গ) সবুজ ভবনের নাম
ঘ) সবুজ আলোর গাছপালা
৩৪) বৈশ্বিক জলবায়ু সুচকে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ক)নবম
খ)দশম
গ)ত্রয়োদশ
ঘ)চতুর্দশ
৩৫) ICAN কোন ধরনের সংস্থা?
ক)পরিবেশ সংস্থা
খ)স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা
গ)মানবাধিকার সংস্থা
ঘ)পরমাণু অস্ত্র বিরোধী জোট
৩৬) প্যারিস চুক্তি কার্যকর হয় কবে?
ক) ১ নভেম্বর, ২০১৬
খ) ৪ নভেম্বর, ২০১৬
গ) ১৫ নভেম্বর, ২০১৬
ঘ) ১ ডিসেম্বর, ২০১৬
৩৭) Climate & Clean Air Coalition চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নয়-
ক)বাংলাদেশ
খ)মেক্সিকো
গ)কানাডা
ঘ)যুক্তরাজ্য
৩৮) বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে কত ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে??
ক)১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি
খ)১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি
গ)২ থেকে ২.৫ ডিগ্রি
ঘ)২.৫ থেকে ৩ ডিগ্রি
৩৯) কিয়োটো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়–
ক. জাপানে
খ. ব্রাজিলে
গ. ইন্দোনেশিয়ায়
ঘ. কোরিয়ায়
৪০) বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির নিচে রাখার পরিকল্পনা গৃহীত হয় কোন চুক্তিতে?
ক)অটোয়া চুক্তিতে
খ)প্যারিস চুক্তিতে
গ)নাগোয়া চুক্তিতে
ঘ)মন্ট্রিল চুক্তিতে
৪১) ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত মন্ট্রিল প্রটোকলের বিষয়বস্তু ছিল?
ক. পরমাণু
খ. পরিবেশ
গ. বাণিজ্য
ঘ. নিরস্ত্রীকরণ
৪২) Environmental Performance Index অনুসারে নির্মল বায়ুর শীর্ষ দেশ-
ক)সুইডেন
খ)সুইজারল্যান্ড
গ)অস্ট্রিয়া
ঘ)অস্ট্রেলিয়া
৪৩) বিশ্ব জলবায়ু সূচক ২০১৯ অনুযায়ী সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ দেশ কোনটি?
ক)মালদ্বীপ
খ)বাংলাদেশ
গ)হন্ডুরাস
ঘ)পুয়ের্তোরিকো
৪৪) সর্বপ্রথম পানি দূষণ চিহ্নিত করেন–
ক. ডাল্টন
খ. গোর্কী
গ. বেনথাম
ঘ. হিপোক্রিটাস
৪৫) Environmental Performance Index অনুসারে নির্মল বায়ুর শীর্ষ দেশ-
ক)সুইডেন
খ)সুইজারল্যান্ড
গ)অস্ট্রিয়া
ঘ)অস্ট্রেলিয়া
৪৬) Carbon Trade এর ধারণা দেয় কোন প্রটোকল/ চুক্তি?
ক)প্যারিস চুক্তি
খ)কিয়োটো প্রোটকল
গ)মন্ট্রিল প্রটোকল
ঘ)কপ-১৫
৪৭) সর্বশেষ COP-25 সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়—
A. মাদ্রিদ, স্পেন
B. জেনেভা,সুইজারল্যান্ড
C. বার্লিন, জার্মান
D. প্যারিস,ফ্রান্স
৪৮) বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় পরিবেশ নীতি ঘোষিত হয়–
A. ১৯৯১ সালে
B. ১৯৯২ সালে
C. ১৯৯৫ সালে
D. ১৯৯৯ সালে
৪৯) পরিবেশ সংরক্ষণ আইন গৃহীত হয়—
A. ১৯৯১ সালে
B. ১৯৯২ সালে
C. ১৯৯৫ সালে
D. ১৯৯৯ সালে
৫০) পরিবেশ বিধিমালা গ্রহণ করা হয়—
A. ১৯৯১ সালে
B. ১৯৯৭ সালে
C. ১৯৯৫ সালে
D. ১৯৯৯ সালে
৫১) ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয় পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলন–
A. ধরিত্রী সম্মেলন+৫
B. ধরিত্রী সম্মেলন+ ৬
C. ধরিত্রী সম্মেলন+৭
D. ধরিত্রী সম্মেলন+৮
৫২) বিশ্ব প্রাণী দিবস পালিত হয় কবে?
A. ১৪অক্টোবর
B. ৫ জুন
C. ২২ এপ্রিল
D. ৪ অক্টোবর
৫৩) ই-৮ হলো-
A. পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনকারী সংস্থা
B. পরিবেশ দুষণকারী ৮টি দেশ
C. পরিবেশ রক্ষাকারী আটটি দেশ
D. পরিবেশবাদী দল
৫৪) বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালিত হয় কবে?
A. ২ ফেব্রুয়ারি
B. ২১ মার্চ
C. ২২ মার্চ
D. ২২ এপ্রিল
৫৫) বন দিবস পালিত হয় কবে?
A. ২ ফেব্রুয়ারি
B. ২১ মার্চ
C. ২২ মার্চ
D. ২২ এপ্রিল
৫৬) পানি দিবস পালিত হয় কবে?
A. ২ ফেব্রুয়ারি
B. ১ মার্চ
C. ২২ মার্চ
D. ২২ এপ্রিল
৫৭) আবহাওয়া দিবস পালিত হয় কবে?
A. ২ ফেব্রুয়ারি
B. ১ মার্চ
C. ২৩ মার্চ
D. ২২ এপ্রিল
৫৮) জীববৈচিত্র দিবস পালিত হয় কবে?
A. ১৭ জুন
B. ২২মে
C. ২৯ জুলাই
D. ১৩ অক্টোবর
৫৯) বাঘ দিবস পালিত হয় কবে?
A. ১৭ জুন
B. ২১ জুন
C. ২৯ জুলাই
D. ১৩ অক্টোবর
৬০) আর্থ আওয়ার পালিত হয় কবে?
A. আগস্টের শেষ শনিবার
B. মার্চের শেষ রবিবার
C. মার্চের শেষ শনিবার
D. আগস্টের শেষ রবিবার
৬১) “আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস”পালিত হয় কবে?
A. আগস্টের শেষ শনিবার
B. মার্চের শেষ রবিবার
C. মার্চের শেষ শনিবার
D. এপ্রিলের যে কোন বুধবার
৬২) বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষণকারী দেশ–
A. ভারত
B. রাশিয়া
C. চীন
D. যুক্তরাষ্ট্র
৬৩) “আন্তর্জাতিক বাঘ বর্ষ” কত সালে ছিল?
A. ২০১০
B. ২০১৩
C. ২০১২
D. ২০১১
৬৪) “সকলের জন্য টেকসই জ্বালানি বর্ষ” কোনটি ?
A. ২০১০
B. ২০১৩
C. ২০১২
D. ২০১১
৬৫) “UNFCCC” এর পূর্ণ রূপ কি?
A. United Nations final Convention on Climate Change
B. United Nations Framework Convention on Climate Change
C. United Nations Framework Council on Climate Change
D. United Nations Framework Convention on Climate Challenge
৬৬) UNFCCC সদরদপ্তর—
A. দিল্লি,ভারত
B. জেনেভা,সুইজারল্যান্ড
C. বন, জার্মানি
D. নিউইয়রক,আমেরিকা
৬৭) UNEP-এর পূর্ণরূপ –
A. United Nations Executive Programme
B. United Nations Environment Plan
C. United Nations Environment Programme
D. United Nations Environmental Petition
৬৮) UNEP-এর সদরদপ্তর—
A. দিল্লি,ভারত
B. জেনেভা,সুইজারল্যান্ড
C. বন, জার্মানি
D. নাইরোবি, কেনিয়া
৬৯) IUCN- এর পূর্ণ রূপ–
A. International Union for the Conservation of the Nations
B. International Unity for the Conservation of the Nature
C. International Union for the Conservation of the Nature
D. International Union for the Council for the Nature
৭০) IUCN- এর সদরদপ্তর—
A. দিল্লি,ভারত
B. জেনেভা,সুইজারল্যান্ড
C. গ্রাণ্ড, সুইজারল্যান্ড
D. নাইরোবি, কেনিয়া
৭১) IPCC নোবেল পুরস্কার লাভ করে—
A. ২০০৮ সালে
B. ২০১১ সালে
C. ২০০৭ সালে
D. ২০১২ সালে
৭২) WMO এবং UNEP-এর সম্মিলিত নাম—
1. IUCN
2. IPCC
3. UNFCCC
4. WWF
৭৩) WWF এর পূর্ণরূপ –
A. World Wide Future for Nature
B. World Wide Foundation for Nature
C. World Wide Fund for Nations
D. World Wide Found for Nature
৭৪) COP-এর পূর্ণরূপ-
A. Conference of the Parties
B. Conference of the people
C. Council of the Parties
D. Commission of the Parties
৭৫) ১৯৯৫ সালে প্রথম COP সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়—
A. দিল্লি,ভারত
B. জেনেভা,সুইজারল্যান্ড
C. বার্লিন, জার্মানি
D. নাইরোবি, কেনিয়া
লিখেছেন- মাসুম পারভেজ
No comments