দেশ পরিচিতি-ভূটান
দেশ পরিচিতি-ভূটান
পৃথিবীর একমাত্র কার্বন নেগেটিভ দেশ ভূটান পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দেশ। দেশটির দাবি অনুসারে – ভুটান প্রতিবছর ১.৫ মিলিয়ন টন পরিমান কার্বন উৎপন্ন করে, অন্যদিকে তাদের বনাঞ্চল শোষণ করে প্রায় ৬ মিলিয়ন টন পরিমান কার্বন।
যেখানে পৃথিবীর সকল দেশ GDP- Gross Domestic Production কে উন্নয়নের নির্দেশক হিসেবে দেখে সেখানে ভূটানে GNH- Gross National Happiness কে উন্নতির নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ ভূটানের মোট জনসংখ্যার সুখের উপর নির্ভর করবে সেই দেশের উন্নতি। এই অসাধারণ ধারণাটি ভূটান ১৯৭২ সালে প্রবর্তন করে।
তামাক মুক্ত দেশ ভূটান। ভূটানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ভূটানের সংবিধান অনুযায়ী ৬০ভাগ বন রাখা বাধ্যতামূলক। বর্তমানে দেশটির মোট বনাঞ্চলের পরিমাণ ৭২ ভাগ।
ভূটান গরিব দেশ হওয়া সত্বেও এখানে শিক্ষা ও চিকিৎসা বিনামূল্যে দেয়া হয়। কৃষি কাজে কোনো প্রকার কীটনাশক, রাসায়নিক সার ব্যবহার নিষিদ্ধ। তারা প্রথাগত পদ্ধতিতে জৈবসার ব্যবহার করে চাষাবাদ করে।
ভূটানের মানুষ খুবই ভদ্র স্বভাবের এবং সবসময় মুখে হাসি নিয়ে কথা বলে। ভূটানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করেছেন। ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. টান্ডি দর্জিও সেখানে পড়ালেখা করেন।
ভূটান বাংলাদেশীদের ফ্রি অন এরাইভাল ভিসা দেয়। তাই বাংলাদেশী হলে ভিসার কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না আপনাকে যদি আপনি ভূটান ভ্রমণে যেতে চান।
ভুটানের স্থানীয় নাম ড্রুক গিয়ালখাপ, সংক্ষেপে ড্রুক ইয়ুল। এছাড়া বজ্র ড্রাগনের দেশ নামেও পরিচিত।
ভূটান একটি জনবিরল দেশ, এটির দক্ষিণে ভারত সীমান্ত এবং উত্তরে গণচীনের সীমান্ত। ভূটানে কোনো নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী নেই।
১৯৭৪ সাল অবধি কোনো বিদেশীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হতোনা। এর পর সীমত সংখ্যক পর্যটক কে ভূটানে ভ্রমনের সুযোগ দেয়া হয়।
১৯৯৯ সাল থেকে টিভি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। ভূটানে কোনো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। ভূটানের রাজধানী থিম্পু একটি ট্রাফিক লাইট বিহীন শহর। ভূটানের জনগনের বিদেশিদের বিয়ে করার অনুমতি নেই।
এখানে সবাইকে তাদের সাংস্কৃতিক পোশাক পরতে হয়। পারিবারিক সম্পত্তি মেয়েদের নামে করা হয়।
No comments