দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

প্রেজেন্টেশন দেয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল


প্রেজেন্টেশন দেয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

যেকোনো শিক্ষার্থীকে আত্মবিশ্বাসী ও কর্মতৎপর হয়ে উঠতে প্রেজেন্টেশনের বিকল্প নেই। কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটির গন্ডি পেরোতে সকল শিক্ষার্থীকেই প্রেজেন্টেশন দিতে হয়। সাধারণতঃ প্রেজেন্টেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে যা সকল শিক্ষার্থীকেই মেনে চলতে হয়।

১। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি:

বিব্রতকর পরিস্থিতি যেকোনো প্রেজেন্টেশনের একটি বড় দুর্বলতা। কিন্তু, ভালো প্রেজেন্টারদের মতে- প্রাথমিকভাবে বিব্রত বা নার্ভাসনেস কাটানোর সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে অডিয়েন্সের সাথে কথা বলে নিজের জড়তা দূর করা। এতে করে অডিয়েন্সও মনে মনে একটা আন্দাজ করে নেয় যে প্রেজেন্টার নিশ্চয়ই তার প্রেজেন্টেশনের বিষয় নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

২। অডিয়েন্স:

প্রেজেন্টেশনের বিষয়বস্তু এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে অডিয়েন্স বিরক্তবোধ না করে। তাই প্রেজেন্টারেরও মাথায় রাখা উচিত কি সে বলতে চায় আর অডিয়েন্স কি শুনতে চায়।

৩। মূল বিষয় উপস্থাপন:

প্রেজেন্টেশনের পরিকল্পনা নেয়ার আগে নিজেকে মনে মনে একটা প্রশ্ন করে নেয়া উচিত।

“আমার প্রেজেন্টেশনের মূল বিষয় কি?”   

প্রত্যেক প্রেজেন্টারকেই অডিয়েন্সের কাছে প্রেজেন্টেশনের মূল বিষয়টি বিস্তারিতভাবে অথচ সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করতে হয়। প্রেজেন্টেশন দেয়ার সময় হাতে একটা বিজনেস কার্ডে মূল বিষয়গুলো লিখে রাখা যেতে পারে। এতে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। প্রেজেন্টেশনের সময় প্রেজেন্টার খুব সহজেই মূল বিষয়গুলো ধরে ধরে ক্রমান্বয়ে আগাতে পারেন, অপরদিকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বাদ পড়ে যায় না।

৪। আই কন্ট্যাক্ট (Eye contract):

আই কন্ট্যাক্ট বা দৃষ্টি সংযোগ– এই শব্দদুটি শুনতে খুব সহজ লাগলেও অধিকাংশ প্রেজেন্টার এই কাজটি করতে ব্যর্থ হন। আসলে কোনো প্রেজেন্টেশনের সাফল্যের পেছনে অডিয়েন্সের প্রতি দৃষ্টি সংযোগের ব্যাপার‍টিকে খুব গুরুত্ব দেয়া উচিত।হাসিখুশি থেকে এবং আই কন্ট্যাক্ট করে অডিয়েন্সের নজর রাখা সহজ হয় যা প্রেজেন্টেশন প্রদানকালে খুব ভালোভাবে সাহায্য করে।

দৃষ্টি সংযোগ এর ক্ষেত্রে নিম্নের ট্রিকসটাও অনুসরণ করতে পারেন-
#In my personal  view..

আপনি যখন কোনো ক্লাস বা অডিটোরিয়াম এ প্রেজেন্টেশন দিবেন সেক্ষেত্রে আপনি রুমের কর্ণারটা দেখবেন তরপর কর্ণারগুলোর দিকে  rotate করে তাকাবেন। ফলে মনে হবে যে আপনি সামনের অডিয়েন্সের সব দিকটি কাভার করছেন বা সব দিকে সমান ভাবে তাকাচ্ছেন। এতে করে আপনাকে কারো চোখের দিকে তাকিয়ে বিচলিত হতে হবে না।

৫। শুরুটা হওয়া চাই ভালো:

প্রেজেন্টেশনের শুরুর দিকটাই একটা প্রেজেন্টেশনের ভালো খারাপ সব কিছু নির্ধারণ করে দেয়। তাই আপনাকে অবশ্যই অডিয়েন্সের নজর কাড়ার ব্যাপারটি ১০/১৫ সেকেন্ডের এই সময়েই করতে হবে। শুরুতে গৎবাঁধা নিয়মে শুরু না করে ভিন্নধর্মী কিছু করা উচিত যাতে সকলেই আলাদা একটি আকর্ষণবোধ করে।

 ৬। স্লাইড শো হওয়া উচিত:

•১০ টা স্লাইডের বেশি না।

•প্রেজেন্টেশনের ব্যাপ্তি ২০ মিনিটের বেশি হবে না।

•ফন্ট সাইজ ৩০ এর বেশি হবে না।

স্লাইডে অতিরিক্ত অ্যানিমেশন  ব্যবহার করবেন না।

√ প্রকৃতিগতভাবে আমরা খুব সহজে তিনটি জিনিস বা বিষয় মনে রাখতে পারি। এর অধিক হলে তা আস্তে আস্তে  ভুলতে থাকি। তাই সবসময় স্লাইডের keyword  তিনটির মধ্যে রাখার চেষ্টা করবো।

√ একটা স্লাইডে কিছু পয়েন্ট আকারে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা উচিত।  প্যারাগ্রাফে লেখা থেকে বিরত থাকুন।

৭। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ:

প্রেজেন্টেশন এর সময় সবসময় স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করবো। জড়োসড়ো বা কুঁজো হয়ে থাকা যাবে না। openly থাকার চেষ্টা করতে হবে যাতে করে অডিয়েন্স বুঝতে পারে যে আপনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

৮। নার্ভাসনেস টা কমানো:

প্রেজেন্টেশন দেয়ার সময় সবসময় মনে রাখবেন যে আপনি যে বিষয়টি সম্পর্কে বলছেন সেই বিষয়টি আপনি ছাড়া অন্যরা বেশি জানেন না। আপনি যা বুঝাবেন বা বলবেন অডিয়েন্স তাই বুঝবেন। এতে করে নার্ভাসনেস টা কমানো যায়।

৯। অবশ্যই নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে:

প্রেজেন্টেশনে সফল হওয়ার চাবিকাঠি মূলত একজন প্রেজেন্টারের হাতেই থাকে। উপর্যুক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে একটা আকর্ষণীয় ও চমৎকার প্রেজেন্টেশন দেয়া সম্ভব!

লিখেছেন- ফাতেমা আফরোজ মিলি, 
শিক্ষার্থী- অর্থনীতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

No comments

Powered by Blogger.