করোনা মহামারীর ক্রান্তিলগ্নে জবির স্বপ্নীল পরিবারের মহতী উদ্যোগ
করোনা মোকাবেলায় জবির স্বপ্নীল পরিবারের উদ্যোগ |
করোনা মহামারীর ক্রান্তিলগ্নে জবির
স্বপ্নীল পরিবারের মহতী উদ্যোগ
জবি প্রতিনিধি-
সম্প্রতি করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী এক
মহামারী হয়ে দেখা দিয়েছে। সমগ্র বিশ্ব অচল হয়ে পড়ছে। ভয়ংকর এই থাবা থেকে নিরাপদ নয়
বাংলাদেশও৷ দেশের অধিকাংশ মানুষ গৃহবন্দী হওয়াতে দেখা দিচ্ছে খাদ্য সংকট সহ নানান
সমস্যা। সমস্যার দ্রুত সমাধান না হওয়াতে বিপাকে পড়ছেন দিনমজুর থেকে গার্মেন্টস
শ্রমিকরা। সুবিধাবঞ্চিত এই সকল মানুষের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে এসেছে জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর স্বপ্নীল বাসের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
চিটাগাংরোড-মৌচাক-সানারপাড়-সাইনবোর্ড-ভূঁইগড়-মাতুয়াইল-রায়েরবাগ-শনিরআখড়া
রুটে নিয়মিতভাবে চলাচলরত জবির স্বপ্নীল বাসের উদ্যোগে ৮৬ টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ
সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ২.৫ কেজি চাল, ১ কেজি আটা, ২
কেজি আলু, ১/২ কেজি তেল, ১ হালি ডিম, ১ কেজি পিঁয়াজ।
এসব ত্রাণ সামগ্রী প্যাকেটে করে
প্রতিটি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়। তন্ময় (১১ ব্যাচ), মেহেদী (১২ ব্যাচ), কনিক
(১২ ব্যাচ), ইমরান (১৩ ব্যাচ), মেহেদী (১৫ ব্যাচ), ফয়সাল (১৫ ব্যাচ) এর উদ্যোগে
এসব ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।
উদ্যোগ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে
কনিক বলেন,
আলহামদুলিল্লাহ। গতকাল অসহায়-দুস্থ প্রায় ৮৬টি পরিবারকে কিছুদিন খেয়ে চলার মত সহায়তা করা হল। দিনশেষে প্রাপ্তি তাদের মুখের এক প্রশান্তির হাসি। তবে এখানেই শেষ নয়, ইনশাআল্লাহ্ সামনে আবারও তাদের পাশে আমাদের সকলের এগিয়ে আসতে হবে।
আরেক শিক্ষার্থী তন্ময় বলেন,
দেশের এই দুঃসময়ে করোনা মহামারী ক্রান্তিলগ্নে স্বপ্নীল পরিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর নেয়া উদ্যোগে সর্বমোট কালেকশন হয়েছে ২২,০৮৩/- এবং বাজার-গাড়িভাড়া-বিতরণ এ মোট খরচ হয়েছে ২৪,৬০০/- অর্থাৎ আমাদের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি এবং সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে আপনাদের সকলের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা সর্বমোট ৮৬ টি পরিবারকে মোটামুটি কিছুদিন খেয়ে চলার মত করেই ত্রাণ সরবরাহ দিতে সক্ষম হয়েছি।
মেহেদী বলেন,
পথিমধ্যে এক রিকশা চালককে পেলাম যে গতদিনের বাজার করেছিল তার ফ্যান বিক্রি করে। কতটা অসহায় আছে তারা না দেখলে বুঝার উপায় নেই।
ইমরান বলেন,
আমরা ত্রাণ দেয়ার ছবি তুলিনি। এটাতে অনেককে ছোট করা হয় বা শো-অফ করা হয়। তবে আপনাদের জ্ঞ্যাতার্থে কিছু ছবি তুলা হয়েছে।
No comments