ভালো থাকার ৪টি উপায়
ভালো থাকার উপায়
দীর্ঘ জীবন সুস্থ থাকার কৌশল হলো সুন্দর সুখময় একটি মন থাকা। সঠিক খাদ্য,
ব্যায়াম, সঠিক ঘুম এবং সুখময় মন (কারণ টেনশন,
আপরাধ বোধ, হিংসা, অহংকার প্রভৃতি নেতিবাচক ভাবনা মনের সুখময় অনুভূতিকে রুদ্ধ করে দেয়। )
সুতরাং সুখ ও শান্তিময় মন বজায় রাখতে অন্তত: চারটি কাজ অভ্যাস করে নেয়া
দরকার-
১. অতীত নিয়ে মন খারাপ না করা-
নিজের কারণে হোক বা অন্যের
কারণে হোক কারো মনে আঘাত করে থাকলে বা খারাপ ব্যবহার করলে তার কাছে দু:খ প্রকাশ করা
বা ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। সে ঘটনা বহু বছর আগে
হয়ে থাকলেও। এতে অপরাধবোধ দূর করা যায়। অন্যদিকে কেউ কষ্ট দিয়ে থাকলে সেটা যতকাল পরেও
হোক ক্ষমা করে দেয়া ভালো একটি গুণ।- যদিও বিষয়টি
কঠিন তারপরেও; এতে কষ্ট দূর করা সম্ভব। আল্লাহ ক্ষমাশীল। আল্লাহ ক্ষমা করে দেয়া পছন্দ করেন।
২. হাসি মুখে থাকা-
মনে শান্তি থাকলে যেমন মুখে
হাসি থাকে ঠিক তেমনি মুখে হাসি বজায় রাখলে
মনে শান্তি অনুভব হয়। গবেষনায় দেখা গেছে হাসি
মুখে থাকলে খারাপ চিন্তা, খারাপ কথা, খারাপ কাজ করা যায় না। সুন্দর হাসির সাথে সম্পর্ক
হলো সততা, সৌন্দর্য এবং পবিত্রতার ।
তাইতো রাসুল ( সা:) বলেন
-
তোমার ভাই এর জন্য একটি হাসি সদকা স্বরূপ।
আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) বলেন-
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে অধিক মুচকি হাস্যকারী ব্যক্তি কাউকে দেখিনি। [সূত্র- তিরমিজি]
যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় বলা হয়েছে-
‘১৫ সেকেন্ড হাসি মুখে থাকলে দুই দিন লাইফ এক্সপান্ট করে’।
কারণটা খুব স্বাভাবিক কারণ এতে এইচ জি এইচ হর্মোনসহ ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি
পায়।
৩. মানুষের কল্যাণ করা-
মানুষ সুখ ও শান্তি অনুভব করে
যখন কাউকে সহযোগিতা করে। কাউকে ভালো বুদ্ধি দিলে, কাউকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলে, কারো
কষ্ট দুর করলে। সোজা কথা ত্যাগের মধ্যে শান্তি, দেবার মধ্যেই সুখ। সুতরাং সুযোগ পেলেই
অন্যের উপকার করার চেষ্টা করা উচিত।
৪. স্রষ্টার উপর ভরসা রাখা-
এক গবেষণায় দেখা গেছে আস্তিকরা
(যারা ধর্ম বিশ্বাস করে) এবং নাস্তিকরা (যারা ধর্ম বিশ্বাস করেন না) এদের মধ্যে আস্তিকরা
বেশী সুখী হয় এবং বেশীদিন বাঁচে। কারণ তাদের টেনশন কম থাকে এবং একটুতেই হতাশ হয় না।
সুতরাং স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস থাকা উচিৎ।
ইন্দোনেশিয়ার ১২০ বছর সুস্থ
থাকা এক মহিলার নাম অনামী (Anami)। তার জীবন যাপন সম্পর্কে প্রশ্ন করার পর তিনি বলেছিলেন
–
* আমি হাসি মুখে থাকার চেষ্টা করি
* সুযোগ পেলেই প্রতিবেশীদের কাজে সহযোগিতা করি এবং
* নামাজ পড়ি।
সুতরাং সুস্থ থাকার জন্য এবং সুখময় জীবনের জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো অভ্যাস
করা উচিৎ।
লিখেছেন-
Counsellor, Mind Gym
East West University
No comments