সাইদুল ইসলামের একগুচ্ছ কবিতা
১) ওরা স্বপ্ন দেখে
ওরা
স্বপ্ন দেখে সুন্দর আগামীর।
যেদিন,
মানুষে মানুষে থাকবে না ভেদাভেদ,
রাস্তার
পাশে বসে কাদবে না হাজারো জবেদ,
সেই
স্বপ্ন দেখে ওরা।
ওরা
স্বপ্ন দেখে এক মুঠো সাদা ভাতের।
যে
সাদা ভাতে ভাগ বসাবে না,
ছিনিয়ে
নিবে না,
মানুষরুপী
ওই কালপীটের দল।
হাজারো
স্বপ্ন নয়, ওদের স্বপ্ন একটি কুড়েঘরের।
যে
ঘরে আঘাত হানবে না কোনো দাবানল,
উচ্ছেদ
করবে না, কেড়ে নেবে না
হিংস্র
ভূমিদস্যুর দল।
ওদের
স্বপ্নগুলো গ্রীষ্মের বিজলীর মতো।
আচমকা
জ্বলে ওঠে,
নিভে
যায় এক নিমিষে,
ধীরে
ধীরে হারিয়ে যায় অন্ধকারের দেশে।
ওদের
স্বপ্নগুলো থাকতো বেচে।
যদি
একটু করুণার দৃষ্টি,
একটু
আশ্বাস, একটু ভালোবাসা পেতো,
হয়তো
আবারো সতেজ হয়ে, জাগ্রত হয়ে উঠতো
কিন্তু,
ওরা যে অভাগা
হারিয়ে
যাওয়ার জন্যই বুঝি তাদের জন্ম,
তাইতো
হারিয়ে যাচ্ছে সভ্যতার অতল গহ্বরে,
যেভাবে
এসেছিল একদিন এই ধরায়।
তবুও
ওরা স্বপ্ন দেখে ভালো ভাবে বেচে থাকার,
স্বপ্ন
দেখবেই তো,
কারণ,
স্বপ্ন দেখার অধিকার আছে সবার।
২) অভিমান
কোনো
এক জোৎস্নারাতে তারাদের আহবানে সাড়া দিয়ে পাড়ি জমাবো চাঁদের দেশে।
পিছনে
ফেলে সব পিছুটান,
পৃথিবীর
মায়া ত্যাগ করে।
অতঃপর,
তুমি
খুজবে আমায়।
মেঘেদের
সাথে সখ্যতা গড়ে উঠবে,
দেশ
থেকে দেশান্তরে খুজবে।
কিন্তু,
আর
কীভাবে সম্ভব?
আমি
যে ফিরবো না আর কখনো।
কান্নায়
ভেঙে পড়বে তুমি।
মেঘেরা
বৃষ্টি হয়ে পড়বে,
একাত্বতা
জানাবে তোমার সাথে,
তবুও
আমি আসবো না।
অভিমান
আমার,
ভালোবাসাময়
অভিমান।
৩) পরিবর্তন
তোমার
পৃথিবী অনেকটা বদলে গেছে,
যতটুকু
প্রয়োজন
তার
থেকে একটু বেশি।
যতটুকু
বদলালে
আমাকে
দূরে সরিয়ে রাখতে পারো।
তোমার
মুখের হাসি আর আগের মতো দেখি না।
অনেকটা
ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
মায়াবী
রংটা ফুটে উঠে না আর,
দেখা
যায় না আর ভালোবাসাময় হাসি।
আর
আমি,
আগের
মতই আছি।
এখনো
রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোমার অপেক্ষা করি।
রাত
জেগে কবিতা লিখি।
ভালোবাসার
কবিতা।
তোমার
চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারি নি
হুট
করে এসে বললে,
"তোমার
জন্য এ মনে কোনো জায়গা নেই।"
ভুলে৷
যাও আমাকে,
চিরদিনের
মতো।
কিন্তু
আমি কি করে ভুলি তোমায়,
শরীরের
রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছো তুমি,
কি
করে ভুলবো তোমায়।
তুমি
ছাড়া জীবন আমার
শূন্য
মরুভূমি।
৪) জীবনের গান
জীবনের
পথে চলতে চলতে হঠাৎ থমকে দাঁড়াই।
কিছু
অনুভূতির সন্ধানে।
শুষ্ক
অনুভূতি।
অত:পর
আবার চলতে থাকা।
ঝিরিঝিরি
বৃষ্টির মধ্যে উঁকি দেই।
কিছু
সুখের খুজে।
ক্লান্ত
দুপুরে বটতলায় বসে গান ধরি,
মনের
সুখে।
অবসাদটুকু
কেটে গেলে আবার চলতে থাকি।
জোছনা
রাতে তেপান্তরে হাটতে থাকি।
শুধু মায়ার টানে।
যদি
একটু ভালোবাসা পাওয়া যায়।
তারাভরা
আকাশের দিকে তাকিয়ে জীবনের হিসেব মিলাই।
কখনো
মিলে যায়,
আবার
কখনো একটু ঝামেলা হয়।
তবুও
ভুল-ত্রুটি কাধে করে আবার চলতে শুরু করি।
জীবনের
পথে...
সেই
যাত্রা কবে শেষ হবে?
সে
তো জানি না।
তবে
মনে হয় আশার প্রদীপটি নিভে গেলে
আমি
অদৃশ্য হয়ে যাবো।
মিলিয়ে
যাবো মহাশূন্যে।
মিছে
এ জীবন।
খণ্ডকালীন
ছুটি নিয়ে আগমন মোর।
চলে
যাবো আবার।
এসেছিলাম
পৃথিবীর বুকে পদচিহ্ন ফেলতে।
Excellent
ReplyDeleteThanks. Stay with us.
Delete