দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

সেইসব মানুষগুলো অনেক বোকা যারা ধর্ম নিয়ে সংঘর্ষ করে

সেইসব মানুষগুলো অনেক বোকা যারা ধর্ম নিয়ে সংঘর্ষ করে


সেইসব মানুষগুলো অনেক বোকা যারা ধর্ম নিয়ে সংঘর্ষ করে। নিজের ধর্মকে সত্য আর বাকি ধর্মগুলোকে মিথ্যা ভাবে। তাঁরা আসলে ধর্মের স্বরূপই জানে না এবং তাঁরা ধর্মগ্রন্থকে কেবলই একটি বই হিসেবে পড়ে। 

এই পৃথিবীতে চার ধর্মের মানুষই সবচেয়ে বেশি। আচ্ছা কিছু সময়ের জন্য এটি মেনে নিতে পারেন যে এই পৃথিবীতে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান এই চার ধর্মের মানুষ ছাড়া আর কোনো ধর্মের মানুষ নেই। তাহলে এই ধর্মাবলম্বীদের মতানুসারে সৃষ্টিকর্তা চারজন এবং তাঁরা প্রত্যেকই আলাদা। আর প্রত্যেক ধর্মের ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান। 

তাহলে প্রশ্ন হলো এই যে, 
স্রষ্টার সৃষ্ট মানুষরা যেভাবে তাদের ধর্মকে একমাত্র ও সত্য ভেবে সংঘর্ষ করছে, ঠিক একইভাবে কী চারজন সর্বশক্তিমান স্রষ্টারা নিজেদের সৃষ্টি নিয়ে সংঘর্ষ করছেন। উত্তর হবে না, কেননা যদি দুটি দেশের মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ শক্তিশালী অস্ত্র নিউক্লিয়ার পরমাণু নিয়ে সংঘর্ষ হয় তবে ঐ দেশগুলোর মানুষের সাথে সাথে দেশের প্রকৃতিও ধ্বংস হয়ে যাবে। তাহলে চিন্তা করেন সর্ব শক্তির ঊর্ধ্বে স্রষ্টাদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে তাদের সকল সৃষ্টিই ধ্বংস হয়ে যেত। আবার ধর্মগ্রন্থে এ কথাও বলা হয়েছে যে সৃষ্টিকর্তা পরম করুণাময়, ক্ষমাশীল এবং দয়ালু। সেই হিসেবে তো স্রষ্টার উচিত ছিলো ধর্ম অনুসারে তাঁর সৃষ্ট জীবের জন্য আলাদা আলাদা পৃথিবী তৈরি করা। কেননা সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই এটি চাইবেন না যে তাঁর সৃষ্ট জীবেরা একে অপরের সাথে সংঘর্ষ করে মারা যায়। 

এ থেকে এটা বলা যায় যে সৃষ্টিকর্তা একজন। কারণ প্রত্যেক ধর্মেই বলা হয়েছে ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। কিন্তু আপনি যদি একথা না মানেন এবং ভাবেন যে সৃষ্টিকর্তা আলাদা, তাহলে এই কথা মানুন যে সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই চাইছেন যেন তাঁর সৃষ্ট মানুষেরা মিলেমিশে একসাথে বসবাস করে। 

কারণ স্রষ্টা পরম করুণাময় এবং দয়ালু। কিন্তু আপনি কী এটি মানছেন? এখন আসি আমার মতাদর্শে, আমি একথা বিশ্বাস করি যে সৃষ্টিকর্তা একজন কিন্তু আমার তাঁর উপাসনা একেকজন একেক ভাবে করে থাকি। আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গীতার ৪র্থ অধ্যায়ের ১১ নং শ্লোকে বলা হয়েছে

"যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্৷
মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ৷৷"

অর্থাৎঃ হে পার্থ, যে যেভাবে আমার প্রতি আত্মসমর্পণ করে, প্রপত্তি স্বীকার করে, আমি তাকে সেইভাবেই পুরষ্কৃত করি। আর সকলেই সর্বতভাবে আমাকেই স্বরণ করে।

প্রত্যেক ধর্মের ধর্মগ্রন্থে শান্তির বার্তা রয়েছে। মানুষ ধর্মগ্রন্থগুলো পাঠ করে ঠিকই কিন্তু তার মর্মার্থ বুঝতে পারে না। যদি বুঝতে পারতো তাহলে ধর্ম নিয়ে কোনো সংঘর্ষ হতো না। 

যে দেশে মানুষে মানুষে বিবাদ রয়েছে সে দেশ কখনো উন্নত হতে পারবে না। আমরা চাইলেই কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতা এবং চরিত্রকে উন্নত করতে পারি আর তার সাথে দেশকেও।

লিখেছেন-
সৌরভ শর্ম্মা


No comments

Powered by Blogger.