দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

স্কাউটের চরে ২২০ টি পরিবারের মধ্যে মাংস বিতরন


স্কাউটের চরে ২২০ টি পরিবারের মধ্যে মাংস বিতরন

গতকাল ১৩ আগস্ট ২০১৯ লালমনিরহাটের স্কাউটের চরে ৫টি গরু ও ২টি খাসী কোরবানী করে ২২০ টি পরিবারের মধ্যে এই মাংস বিতরন করা হয়েছে ।
ঢাকা থেকে রোভার হিসান ও আকরাম কোরবানি ব্যাবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য ঈদের রাতেই রওয়ানা দিয়ে পরদিন স্কাউটের চরে গিয়ে পৌছায় ।
স্কুল ছুটি থাকা সত্বেও শিক্ষকরা সকলে এই দিনে স্কুলে উপস্থিত থেকে তালিকা চুড়ান্ত করেন ও বিতরনে সাহায্য করেন ।
এবারের দুটি খাসীর ২৫ কেজি মাংস চরের এতিম বাচ্চা ও অসুস্থতার কারনে যাঁরা গরুর মাংস খেতে পারেন না তাদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে ।
৫টি গরুতে প্রায় ৫৫০ কেজি মাংস হয়েছে । চরের ২২০টি পরিবার সকলেই আড়াই কেজি করে মাংস পেয়েছে । চরবাসীর আর্থিক অবস্থা কিছুটা ভাল হওয়ায় এবার মসলা কেনার জন্য আলাদা কোন টাকা দেয়া হয় নাই ।

এই আড়াই কেজি মাংস অনেকে সংরক্ষন করে মাস খানেক সময় নিয়ে আস্তে আস্তে খাবে্ন ।
যাঁদের কাছে মাংস কেনা বিলাসিতা, যাঁরা সারা বছর মাংস কিনে খায় না, তাদের কাছে কোরবানীর এই আড়াই কেজি মাংস কত বড় প্রাপ্তি, তা বুঝতে হলে কোন এক কোরবানীতে এখানে একবার আসার জন্য অনুরোধ জানাই ।
এবারের এপিআর এর ভিডিও স্টোরী ধারনের সময় আমরা ইচ্ছে করেই কোরবানীর বিষয়টি উল্লেখ করিনি । কিন্তু চরের অভিভাবক, শিক্ষক, ছাগল গ্রহীতা, রোগী, সাধারন চরবাসী, মেম্বার যত জনের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে কোরবানী ও মাংস প্রাপ্তির কথা বলতে একজনও ভোলেন নি ।
এবারের প্রত্যেকটা গরু খুবই সুন্দর । ন্যায্য দামে ভাল গরু কেনার পুরো কৃতিত্ব বাংলাদেশ স্কাউটস এর উপ পরিচালক আমাদের সফর সংগী মশিউর সাহেবের । বড় বাড়ী হাটে প্রায় ৫ ঘন্টা থেকে তিনি চরবাসীদের সাথে নিয়ে গরুগুলি কিনেছেন । স্কাউটের চরে তিনিও এবার কোরবানী করেছেন ।
চরে ১৩ টি হিন্দু পরিবার আছে । তাঁরা তাদের ধর্ম সঠিকভাবে মানার চেস্টা করে । তাই প্রতিবারের মত এবারও আলাদা ফান্ড থেকে তাদের জন্য একটা খাসী কিনে দেয়া হয়েছে । এই খাসী তারা জবাই করে নিজেদের মধ্যে মাংস ভাগ করে নিয়েছে ।
দারীদ্রের আলাদা কোন ধর্ম নেই । একই চরে মুসলমান দরীদ্র মানুষ মাংস খাবে ধর্ম আলাদা বলে হিন্দুরা এই প্রাপ্তি বা আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে, তা আমাদের ধর্ম আমাদের শেখায় না । তাই আমরা ২০১২ সাল থেকেই তাদের জন্য আলাদা ব্যাবস্থা করে আসছি ।
চরে কোরবানী দেয়া মানুষের সংখ্যা ধীরে হলেও বাড়ছে । বিশেষ করে আমাদের থেকে নেয়া ২ টি মাদি ছাগল গ্রহীতাদের মধ্যে । আমাদের কাছে এটা অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাপকাঠি । ধীরে ধীরে চরবাসী গ্রহীতা থেকে দাতা হচ্ছেন । এটাই টেকসই উন্নয়ন ।
করুনাময় সকলের কোরবানী কবুল করুক ।
#SDGsbyCrystal
#Scouts4SDGs
লিখেছেন-
Sarwar Mohammad Shahriar
National Commissioner at Bangladesh Scouts

Founder at CRYSTAL OPEN SCOUTS


No comments

Powered by Blogger.