শফিকুলের প্রথম মৌলিক গান "ভাবতে ঘেন্না লাগে" মুক্তি পাচ্ছে ২৯ জুলাই
দ্যা ডেইলি এডুকেশন ডেক্স-
অবশেষে গানের রাজা শফিকুলের প্রথম মৌলিক গান "ভাবতে ঘেন্না লাগে" প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল CMV থেকে।
আগামী ২৯ জুলাই শফিকুলের মৌলিক গান "ভাবতে ঘেন্না লাগে প্রকাশিত হবে ইউটিউব চ্যানেল CMV থেকে। যা ইমরান তার ফেসবুক পেজে জানান।
গানটি লিখেছেন স্নেহাশীষ ঘোষ । ভিডিও পরিচালনা করেছেন সৈকত রেজা। আর সুর এবং সঙ্গীত দিয়েছেন ইমরান।
গানটি মিউজিক ভিডিওসহ প্রকাশ করা হবে। গানটিতে অভিনয় করেছেন সারিকা সাবাহ এবং বাঁধন। তাছাড়া আরেকজন অভিনয় করেছেন যার নাম প্রকাশ করা হয় নি, দর্শকদের জন্য সারপ্রাইজ হিসেবে রাখা হয়েছে।
গানটি রেকর্ড করার পর প্রথম দুই কলি
"পুতুল খেলার লাগে, এমন কাউরে বাসছি ভালো,
ভাবতে ঘেন্না লাগে"প্রকাশ করা হয় যা ভক্তদের চরমভাবে আকর্ষণ করে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে গানটির জন্য।আর অপেক্ষার সেই প্রহর কাটতে যাচ্ছে ২৯ জুলাই।
গানের রাজা শফিকুলের গান শোনে অবাক হয়েছে এস আই টুটুল।এস আই টুটুলের "যায় দিন যায় একাকী " গানটি পরিবেশনকালে তিনি বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শফিকুলের কন্ঠে গানটি শুনে খুবই আশ্চর্যান্বিত হোন এবং বলেন, শফিকুল গানটিতে কিছু নোট লাগালো যা গানে ছিল না কিন্তু এতো বিউটিফুল করে নোটগুলো লাগালো। আমি ট্যাগ করেছি,নিশ্চয়ই অন দ্যা স্টেজে আমিও তার মতো করে গাইবো। কতটুকু ভাগ্যবান হলে যার গান তার থেকে এমন মন্তব্য আশা করা যায়। তাছাড়া ইমরান শফিকুলের প্রতিটা গানেই মুগ্ধ হোন এবং বলেন, ও গানে কি যেন একটা দেয় যেমন তরকারিতে মশলা দিলে বেশি সুস্বাদু হয় শফিকুলও গানের মধ্যে সেরকম একটা কিছু দেয় । তিনি আরও বলেন, কিছু জিনিস আছে যা আল্লাহ প্রদত্ত, শফিকুলেরটাও সেরকম। তাছাড়া কোনাল তো বলেই ফেলেছে, 'শফিকুল, আমি কিন্তু তোমার ফেন'।আরও নামকরা শিল্পীরা শফিকুলের গানে মুগ্ধ হয়ে ধানি মরিচসহ তাকে নানা নামে ডাকেন। যেই শফিকুলের মায়াবী কন্ঠে গান শুনে সেই তার গানের প্রেমে পড়ে যায়।
তার জন্ম নেত্রকোনা সদর উপজেলায় কৃষ্ণগোবিন্দ গ্রামে এক দারিদ্র পরিবারে ।সে বর্তমানে কৃষ্ণ গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত রয়েছে। । ৪ ভাই আর ৩ বোনের সংসারে সেই সবচেয়ে ছোট।
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি তার ছিল বিশাল টান। বাবার হাতেই তার গানের হাতেখড়ি। একদিন একটা অনুষ্ঠানে সে একটা গান গাওয়ার ইচ্ছা পোষন করে। তারপর সে একটি গান গায় এবং শ্রোতারা তার গানে মুগ্ধ হয়ে আরেকটি গান শুনতে চায়।তারপর সে আরও একটি গান পরিবেশন করে। সেদিন শ্রোতাদের কেউ একজন তার গানে মুগ্ধ হয়ে ৩০ টাকা বকশিস দেয় যা ছিল তার জীবনের প্রথম সম্মাননা। যা তার বাবা আড়াল থেকে দেখেছিল। তার বাবাও ছিল একজন গানপ্রিয় মানুষ। তিনি ছেলের আগ্রহ দেখে তাকে গান শিখাতে থাকেন৷ এভাবে শফিকুল বাবার কাছ থেকে ৪-৫ টি গান শিখে। পরবর্তীতে সে বিভিন্ন মাজারে মাজারে ফোক গান করতে থাকে এবং তা থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে তার সংসারে হাল ধরতে শুরু করে । এমনকি সে তার উপার্জন দিয়ে তার দুই বোনের বিয়ে পর্যন্ত দেয়। একসময় তার ময়মনসিংহের ফুলপুর শিল্পকলা মিলন গোষ্ঠীর সাথে পরিচয় হয়। সেখানে মিলন সরকারের সাহচার্যে গান শিখা আরম্ভ করে । তারপর একদিন সুনীল কর্মকার তার গান শুনেন এবং তার প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান । তাকে মাছরাঙা টেলিভিশন কর্তৃক আয়োজিত ম্যাজিক বাউলিয়ানা প্রতিযোগিতা ২০১৬ এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দেন । যেখানে শফিকুল তার অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে প্রথম রানারআপ হিসেবে বিজয়ী হয়।
পরবর্তীতে এসিআই এক্সট্রা ফান কেইক চ্যানেল আই "গানের রাজা প্রতিযোগিতা ২০১৯" এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার আধুনিক গানে পদার্পণ। সেখানেও সে ফার্স্ট রানারআপ হিসেবে বিজয়ী হয়। মিডিয়ায় আসার মধ্য দিয়ে সারা দেশে পরিচয় তার বিস্তার লাভ করে। । জয় করে নেয় কোটি কোটি মানুষের হৃদয়।
তার মায়াবী কন্ঠে গান শুনে এদেশের মানুষ মুগ্ধ হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাকে জানাচ্ছেন সাধুবাদও।
আজ শফিকুল বাংলাদেশের আইকন। তার এ অর্জনের মধ্যে রয়েছে অনেক সংগ্রাম আর সাধনা। অনেক সাধনার ফসল আজকের এই শফিকুল, গানের রাজা শফিকুল।
অবশেষে গানের রাজা শফিকুলের প্রথম মৌলিক গান "ভাবতে ঘেন্না লাগে" প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল CMV থেকে।
আগামী ২৯ জুলাই শফিকুলের মৌলিক গান "ভাবতে ঘেন্না লাগে প্রকাশিত হবে ইউটিউব চ্যানেল CMV থেকে। যা ইমরান তার ফেসবুক পেজে জানান।
গানটি লিখেছেন স্নেহাশীষ ঘোষ । ভিডিও পরিচালনা করেছেন সৈকত রেজা। আর সুর এবং সঙ্গীত দিয়েছেন ইমরান।
গানটি মিউজিক ভিডিওসহ প্রকাশ করা হবে। গানটিতে অভিনয় করেছেন সারিকা সাবাহ এবং বাঁধন। তাছাড়া আরেকজন অভিনয় করেছেন যার নাম প্রকাশ করা হয় নি, দর্শকদের জন্য সারপ্রাইজ হিসেবে রাখা হয়েছে।
গানটি রেকর্ড করার পর প্রথম দুই কলি
"পুতুল খেলার লাগে, এমন কাউরে বাসছি ভালো,
ভাবতে ঘেন্না লাগে"প্রকাশ করা হয় যা ভক্তদের চরমভাবে আকর্ষণ করে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে গানটির জন্য।আর অপেক্ষার সেই প্রহর কাটতে যাচ্ছে ২৯ জুলাই।
গানের রাজা শফিকুলের গান শোনে অবাক হয়েছে এস আই টুটুল।এস আই টুটুলের "যায় দিন যায় একাকী " গানটি পরিবেশনকালে তিনি বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শফিকুলের কন্ঠে গানটি শুনে খুবই আশ্চর্যান্বিত হোন এবং বলেন, শফিকুল গানটিতে কিছু নোট লাগালো যা গানে ছিল না কিন্তু এতো বিউটিফুল করে নোটগুলো লাগালো। আমি ট্যাগ করেছি,নিশ্চয়ই অন দ্যা স্টেজে আমিও তার মতো করে গাইবো। কতটুকু ভাগ্যবান হলে যার গান তার থেকে এমন মন্তব্য আশা করা যায়। তাছাড়া ইমরান শফিকুলের প্রতিটা গানেই মুগ্ধ হোন এবং বলেন, ও গানে কি যেন একটা দেয় যেমন তরকারিতে মশলা দিলে বেশি সুস্বাদু হয় শফিকুলও গানের মধ্যে সেরকম একটা কিছু দেয় । তিনি আরও বলেন, কিছু জিনিস আছে যা আল্লাহ প্রদত্ত, শফিকুলেরটাও সেরকম। তাছাড়া কোনাল তো বলেই ফেলেছে, 'শফিকুল, আমি কিন্তু তোমার ফেন'।আরও নামকরা শিল্পীরা শফিকুলের গানে মুগ্ধ হয়ে ধানি মরিচসহ তাকে নানা নামে ডাকেন। যেই শফিকুলের মায়াবী কন্ঠে গান শুনে সেই তার গানের প্রেমে পড়ে যায়।
তার জন্ম নেত্রকোনা সদর উপজেলায় কৃষ্ণগোবিন্দ গ্রামে এক দারিদ্র পরিবারে ।সে বর্তমানে কৃষ্ণ গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত রয়েছে। । ৪ ভাই আর ৩ বোনের সংসারে সেই সবচেয়ে ছোট।
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি তার ছিল বিশাল টান। বাবার হাতেই তার গানের হাতেখড়ি। একদিন একটা অনুষ্ঠানে সে একটা গান গাওয়ার ইচ্ছা পোষন করে। তারপর সে একটি গান গায় এবং শ্রোতারা তার গানে মুগ্ধ হয়ে আরেকটি গান শুনতে চায়।তারপর সে আরও একটি গান পরিবেশন করে। সেদিন শ্রোতাদের কেউ একজন তার গানে মুগ্ধ হয়ে ৩০ টাকা বকশিস দেয় যা ছিল তার জীবনের প্রথম সম্মাননা। যা তার বাবা আড়াল থেকে দেখেছিল। তার বাবাও ছিল একজন গানপ্রিয় মানুষ। তিনি ছেলের আগ্রহ দেখে তাকে গান শিখাতে থাকেন৷ এভাবে শফিকুল বাবার কাছ থেকে ৪-৫ টি গান শিখে। পরবর্তীতে সে বিভিন্ন মাজারে মাজারে ফোক গান করতে থাকে এবং তা থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে তার সংসারে হাল ধরতে শুরু করে । এমনকি সে তার উপার্জন দিয়ে তার দুই বোনের বিয়ে পর্যন্ত দেয়। একসময় তার ময়মনসিংহের ফুলপুর শিল্পকলা মিলন গোষ্ঠীর সাথে পরিচয় হয়। সেখানে মিলন সরকারের সাহচার্যে গান শিখা আরম্ভ করে । তারপর একদিন সুনীল কর্মকার তার গান শুনেন এবং তার প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান । তাকে মাছরাঙা টেলিভিশন কর্তৃক আয়োজিত ম্যাজিক বাউলিয়ানা প্রতিযোগিতা ২০১৬ এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দেন । যেখানে শফিকুল তার অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে প্রথম রানারআপ হিসেবে বিজয়ী হয়।
পরবর্তীতে এসিআই এক্সট্রা ফান কেইক চ্যানেল আই "গানের রাজা প্রতিযোগিতা ২০১৯" এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার আধুনিক গানে পদার্পণ। সেখানেও সে ফার্স্ট রানারআপ হিসেবে বিজয়ী হয়। মিডিয়ায় আসার মধ্য দিয়ে সারা দেশে পরিচয় তার বিস্তার লাভ করে। । জয় করে নেয় কোটি কোটি মানুষের হৃদয়।
তার মায়াবী কন্ঠে গান শুনে এদেশের মানুষ মুগ্ধ হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাকে জানাচ্ছেন সাধুবাদও।
আজ শফিকুল বাংলাদেশের আইকন। তার এ অর্জনের মধ্যে রয়েছে অনেক সংগ্রাম আর সাধনা। অনেক সাধনার ফসল আজকের এই শফিকুল, গানের রাজা শফিকুল।
No comments