দারুচিনি দ্বীপ | রিভিউ | কাহিনি সংক্ষেপ
বই- দারুচিনি দ্বীপ |
বই:দারুচিনি দ্বীপ
লেখক: হুমায়ুন
আহমেদ
সিরিজ: শুভ্র সমগ্র
শুভ্র ভার্সিটিতে
পড়ে।কিন্তু তার আচার ব্যবহার সব কিছুই যেন ছোট বাচ্চাদের মতো।বাবা মায়ের চোখে সে যেন
দুদিন আগের সেই দশ বছরের ছেলে।শুভ্র বেশির ভাগ সময় বই পড়ে অবসর কাটায়।পরীক্ষায় প্রথম
ছাড়া দ্বিতীয় সে কখনো হয় নি।কিন্তু বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে সে কমই জানে।তার বন্ধুরা
মিলে ঠিক করেছে তারা সেন্টমার্টিন আইল্যান্ডে যাবে।যে ভ্রমণের নাম হলো প্রজেক্ট দারুচিনি
দ্বীপ। তার অন্যান্য বন্ধুরা হলো সঞ্জু,অয়ন,বল্টু,নীরা,জীর,ইলা,আনুষ্কা প্রমুখ।তাদের
লক্ষ্য দ্বীপে গিয়ে জোৎস্ন্যা রাত কাটানো। তারা মেয়ে দের নিবেনা।কারণ সমস্যা হতে পারে।কিন্তু মেয়ে বন্ধুরা তাদের সাথে যাবেই।
সঞ্জু তার মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে যাবে।অয়ন যাবে কিনা সেটা রাত নয় টা অবদি বোঝা
যাবে।কারণ সে তার ছাত্রের কাছে টাকা ধার চেয়েছে।আনুশকার কোন সমস্যা নাই।তার মা বাবার
কাছ থেকে সেপারেট হয়েছে।তার বাবা জাহাজে জব করে।বাসায় আনুশকা একাই থাকে।মেয়ে বন্ধুদের
নেতৃত্ব দিচ্ছে আনুশকা।ইলা, নীরা ফ্যামিলি কে ম্যানেজ করে ইনিয়ে বিনিয়ে।কিন্তু জরী
পারে নি।কারণ তার এংগেযমেন্ট হয়েছে। ১ মাস পর তার বিয়ে।তার পরিবার হলো খুবই কনজারভেটিভ।
তাই তার যাওয়া হবেনা।শুভ্রকে তার বাবা সব সময় বোকা আর ভীতুর ডিম মনে করে।বন্ধুদের উপর
আধিপত্য তৈরী করতে বলে।বাট শুভ্র তা করতে চায়না।ছেলেকে তিনি নিজের মতো করে বড় করতে
চায়।লেখা টি পড়ে মনে হলো সময়টি এরশাদের স্বৈরতন্ত্র পতনের শেষ দিকে।এই পতনটির সাক্ষী
হওয়ার জন্যেই আনুশকার বাবা দেশে ফিরে এসেছেন।
বন্ধুরা মিলে ঠিক
করে সপ্তাহের মঙ্গলবারে তারা ট্রেন যোগে রওনা শুরু করবে।নির্ধারিত সময়ের আগেই শুভ্র স্টেশনেরর দিকে রওনা করে। রওনা হবার পূর্বেই
বাবাকে জানিয়ে দেয় তার উপর সে বিরক্ত।চশমা
ছাড়া শুভ্র কিছুই দেখতে পায়না।যাবার পথে রিক্সা থেকে পরে গিয়ে তার চশমা ভেঙে যায়।সে
ভুল প্লাটফরমে দাড়িঁয়ে থাকে।অন্যদিকে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে আসে জরী।ছেলে তার পছন্দ
নয়।জোর করেই বিয়ে দিতে চাচ্ছে সবাই।এখন সে দ্বীপে যাবার জন্য স্টেশনে।এসে দেখে শুভ্র
ভুল জায়গায় দাড়িঁয়ে আছে।হাত ধরে সে তাকে সঠিক জায়গায় নিয়ে যায়। বন্ধু সমাজে শুভ্রর
ডাক নাম হলো কানা বাবা।সবাই থার্ড ক্লাসের বগিতে ওঠে। এদিকে সঞ্জুকে ট্রেনে তুলে দেওয়ার
জন্য তার বাবা ও বোন মুনা এসেছে। তখনো অয়ন এসে পৌছাঁয় নি।সবাইকে সে দেখতে পায় বাট অয়ন
নাই। হয় তো সে টাকা সংগ্রহ করতে পারেনি।মুনার মন খারাপ হয়ে যায়।কারণ কিছুক্ষণ আগেই
মুনা অয়নকে একটা সোয়েটার উপহার দিয়েছে।যাতে শীতে তার অসুখ না হয়।ট্রেন ছাড়বে কিন্তু
অয়নের দেখা নাই।সবাই চিন্তায় পরে গেল।হঠাৎ মুনা অয়ন কে দেখতে পেল।বুঝতে পারে সে টাকা
সংগ্রহ করতে পারেনি।মুনা কান্না শুরু করে বাবার চোখের দিকে দেখে।তার বাবা ৬০০ টাকা
অয়ন কে দেয়।। বলে যে যাও ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে তো।যাও। ঘুরে আসো দারুচিনি দ্বীপ থেকে।
সে দৌড়ায়।পেছন
থেকে মুনা ও দৌড়াচ্ছে। মুনা কেন দৌড়াচ্ছে সে নিজেও জানে না।
No comments