দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

বাদশাহ নামদার | রিভিউ | কাহিনি সংক্ষেপ



বই: বাদশাহ নামদার
লেখক: হুমায়ুন আহমেদ

@কয়েকটি কাহিনী তুলে ধরা হলো।

>>>সম্রাট হুমায়ুন শের শাহের সাথে চৌসার যুদ্ধে পরাজয়ের পর কনৌজের যুদ্ধেও পরাজিত হন।
এ যুদ্ধে পরাজয় হলে তিনি পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়ায়। পরে লাহোরে অবস্থান করেন তিনি। এদিকে যুদ্ধ জয় করে শের শাহ ১৫ই জুলাই ১৫৪০ সালের দিল্লীর সিংহাসনে আরোহন করেন।
রাজ্যহারা হুমায়ুন লাহোরে বসে শের শাহ কে কবিতা লেখে পাঠালেন। কবিতাটি  হলো এরকম-

"যদিও আয়নায় নিজ চেহারা দেখা যায় তারপরও তা আলাদা থাকে। নিজেকে অন্যরুপে দেখা বড়ই আশ্চর্যের ব্যাপার। এ হলো আল্লাহর অলৌকিক কাজ।"

মাতা দিলবার বেগম হুমায়ুন কে পত্র লেখেন।  পত্রে হুমায়ুনের প্রতি তার ব্যথাসহানূভুতি দেখায়। তাকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন তিনি।
সম্রাট মা দিলবার বেগমের সাথে দেখা করতে যান। সাথে যায় চার পত্নী। তারা হলেন-

বেগা বেগম
মাহ চুচুক বেগম
গুনগার বেগম
মেওয়াজান।

মেওয়াজান ছিলেন হুমায়ুনের শেষ পত্নী। তিনি ছিলেন হুমায়ুনের ভগ্নি গুলবদনের দাসী। রুপে মোহিত হয়ে তাকে বিয়ে করেন সম্রাট। বাসর রাতের পর মেওয়াজান সম্পর্কে তিনি বলেন এতো রুপবতী নারী জান্নাতের হুর কেও হার মানাবে।

  দিলবার বেগমের সাথে দেখা করতে গিয়ে কুর্নিশ করে  চৌদ্দ বছরের একজন বালিকা। নাম তার হামিদা বানু। সম্রাটের কনিষ্ঠ ভ্রাতা মীর্জা হিন্দাল তা বাবার কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।
সম্রাট হামিদা বানুকে বিয়ের প্রস্তাব করেন। দিলবার বেগমকে দিয়ে বিয়ের কথা বলায় হামিদা বানুকে। প্রথমে তিনি সম্রাটকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালেও হুমায়ুনের অনশনের কথা শুনে বিয়েতে রাজি হন হামিদা।
বিয়ের কাহিনী টা এজন্যই তুলে ধরলাম যে হামিদা বানুর পেট থেকেই জন্ম গ্রহণ করেন আকবর। "আকবর দ্যা গ্রেট"। আকবরের জন্ম হয় অমরকোটে।

এক যুদ্ধে শিশু পুত্র আকবর কে রেখে পত্নী সহ হুমায়ুন পালিয়ে যায় পারস্যে। আকবরকে বুকে তুলে নেয় আক্রমণকারী চাচা  মীর্জা আসকারি। এই আসকারির পত্নীর কাছেই লালন পালন হন আকবর।
সম্রাট তখন রাজ্যহারা। হুমায়ুনকে দিল্লীর সিংহাসন ফিরে পেতে সাহায্য করে বৈরাম খা। যিনি সৈন্যবাহিনীর প্রধান। যার গুণমেধাপ্রজ্ঞা হুমায়ুন প্রথমে না বুঝতে পারলেও পরে বুঝতে পেরে তাকে "খান খানান" উপাধিতে ভূষিত করেন।  যার অর্থ রাজাদের রাজা। বাবা হুমায়ুন বৈরাম খা কে এতো সন্মান করতো,এতো ভালোবাসতো তারই ছেলে আকবর করলেন তার বিপরীত টা। প্রথম দিকে আকবরের অভিভাবক ছিলেন বৈরাম খা।  পরে তাকে জোর করে  মক্কায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। নিজের অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও বৈরাম খা মক্কা যেতে বাধ্য হন। আকবরের নির্দেশেই পথিমধ্যে বৈরাম খা কে তার সৈন্যরা হত্যা করে।

পৃথিবীর ইতিহাসে আকরের পরিচয়
 "আকবর দ্যা গ্রেট"। বৈরাম খা'র করুণ পরিণতি  গ্রেট আকবরের কাছ থেকে আশা করা যায় নাতবে প্রদ্বীপের নিচেই অন্ধকার থাকে।

লিখেছেন- 

নাসিম আহমেদ
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। 

No comments

Powered by Blogger.