ইন্টার্নিশিপ রিজিউম লেখনী নির্দেশনা | INTERNSHIP RESUME
ইন্টার্নিশিপ রিজিউম লেখনী নির্দেশনা- সাদিয়া আখতার |
ইন্টার্নিশিপ রিজিউম (INTERNSHIP RESUME) লেখনী নির্দেশনা
আপনি কি সামনে ইন্টার্নশিপ করতে যাচ্ছেন? আপনার পছন্দের প্রতিষ্ঠানে উন্মুক্ত সুযোগ নিতে চান? আপনার স্বপ্নের কাজটিকে সহজে বাস্তবায়ন করতে চান?
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ইন্টার্নের জন্য বা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক হলে আপনাকে অবশ্যই রিজিউম উপস্থাপন করতে হবে।
রিজিউম সম্পর্কে নিশ্চয় ধারণা রয়েছে? এটি আপনার পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসমূহের স্পষ্ট প্রতিফলন। এই রিজিউম দিয়েই আপনার কাজের প্রতি ইচ্ছা, সৃষ্টিশীলতা, উদ্যোগী মনোভাব, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা - সবই প্রকাশিত হবে।
একটি যথাযথ ইন্টার্নিশিপ রিজিউম (INTERNSHIP RESUME) লিখতে কি করবেন তার সংক্ষিপ্ত ধারণা দিতে চেষ্টা করছি-
১. প্রথমেই অনুধাবন করুন প্রতিষ্ঠানটি ইন্টার্ন এর কোন দক্ষতা বা বিষয়গুলোর উপর ফোকাস করছেন। এরপর আপনার কি কি স্কিল রয়েছে সেগুলো তালিকাবদ্ধ করুন। যেমন - আপনার রিসার্চ, প্রজেক্ট, এওয়ার্ডস, পার্ট-টাইম বা অন-ক্যাম্পাস জব, স্বেচ্ছাসেবা, ছাত্রসংগঠন, ক্লাব ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি।
২. রিজিউম লেখার কিছু গাঠনিক নিয়ম রয়েছে।
• এক পৃষ্ঠায় হতে হবে।
• স্পষ্ট, প্রাঞ্জল ও ত্রুটিমুক্ত।
• স্কিল হাইলাইট করতে হবে।
• কি কাজ করতে চান তার সম্পূর্ণ ধারণা প্রদান।
৩. অদ্ভূত হলেও সত্যি, ইন্টার্ন রিক্রুটারদের কাছে একাডেমিক জিপিএ বা সিজিপিএ- এর তেমন গুরুত্ব নেই। বরং বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, সেমিনার এবং ইন্টার্নশিপ প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতার প্রতিই রিক্রুটারদের ইতিবাচক দৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়।
৪. আপনার কার্যক্রম রিজিউম - এ অবশ্যই বিপরীত ক্রমে যোগ করবেন, অধিক সাম্প্রতিক থেকে অনধিক সাম্প্রতিক কাজকে সাজান।
যদি কিছু কাজ একইসময়ে হয়ে থাকে তবে সর্বাধিক প্রাসঙ্গিক কাজটিকে উপরে রাখুন।
৫. আপনার স্কিলসমূহের একটি বিশ্বাসযোগ্য সারসংক্ষেপ লিখুন। প্রতিষ্ঠানের চাহিদার সাথে সম্পর্কিত স্কিলকে হাইলাইট করুন।
৬. আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতাগুলোও সংযুক্ত করুন।যেমন - মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, অনলাইন রিসার্চ, বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শিতা।
৭. সম্ভব হলে আপনার সৃজনশীলতার কিছু নমুনা উপস্থাপন করুন। জেনে অবাক হবেন, অনেক সৃজনশীল কর্ম এখন পেশায় পরিণত হয়েছে।
৮. সর্বশেষে, আপনার রিজিউম সম্পাদনা করুন। অন্তত একবার ইন্টার্ন রিক্রুটারদের দৃষ্টিতে দেখতে চেষ্টা করুন।
লিখেছেন-
সাদিয়া আখতার
শিক্ষার্থী, মাইক্রোবাইয়োলজি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
আপনি কি সামনে ইন্টার্নশিপ করতে যাচ্ছেন? আপনার পছন্দের প্রতিষ্ঠানে উন্মুক্ত সুযোগ নিতে চান? আপনার স্বপ্নের কাজটিকে সহজে বাস্তবায়ন করতে চান?
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ইন্টার্নের জন্য বা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক হলে আপনাকে অবশ্যই রিজিউম উপস্থাপন করতে হবে।
রিজিউম সম্পর্কে নিশ্চয় ধারণা রয়েছে? এটি আপনার পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসমূহের স্পষ্ট প্রতিফলন। এই রিজিউম দিয়েই আপনার কাজের প্রতি ইচ্ছা, সৃষ্টিশীলতা, উদ্যোগী মনোভাব, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা - সবই প্রকাশিত হবে।
একটি যথাযথ ইন্টার্নিশিপ রিজিউম (INTERNSHIP RESUME) লিখতে কি করবেন তার সংক্ষিপ্ত ধারণা দিতে চেষ্টা করছি-
১. প্রথমেই অনুধাবন করুন প্রতিষ্ঠানটি ইন্টার্ন এর কোন দক্ষতা বা বিষয়গুলোর উপর ফোকাস করছেন। এরপর আপনার কি কি স্কিল রয়েছে সেগুলো তালিকাবদ্ধ করুন। যেমন - আপনার রিসার্চ, প্রজেক্ট, এওয়ার্ডস, পার্ট-টাইম বা অন-ক্যাম্পাস জব, স্বেচ্ছাসেবা, ছাত্রসংগঠন, ক্লাব ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি।
২. রিজিউম লেখার কিছু গাঠনিক নিয়ম রয়েছে।
• এক পৃষ্ঠায় হতে হবে।
• স্পষ্ট, প্রাঞ্জল ও ত্রুটিমুক্ত।
• স্কিল হাইলাইট করতে হবে।
• কি কাজ করতে চান তার সম্পূর্ণ ধারণা প্রদান।
৩. অদ্ভূত হলেও সত্যি, ইন্টার্ন রিক্রুটারদের কাছে একাডেমিক জিপিএ বা সিজিপিএ- এর তেমন গুরুত্ব নেই। বরং বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, সেমিনার এবং ইন্টার্নশিপ প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতার প্রতিই রিক্রুটারদের ইতিবাচক দৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়।
৪. আপনার কার্যক্রম রিজিউম - এ অবশ্যই বিপরীত ক্রমে যোগ করবেন, অধিক সাম্প্রতিক থেকে অনধিক সাম্প্রতিক কাজকে সাজান।
যদি কিছু কাজ একইসময়ে হয়ে থাকে তবে সর্বাধিক প্রাসঙ্গিক কাজটিকে উপরে রাখুন।
৫. আপনার স্কিলসমূহের একটি বিশ্বাসযোগ্য সারসংক্ষেপ লিখুন। প্রতিষ্ঠানের চাহিদার সাথে সম্পর্কিত স্কিলকে হাইলাইট করুন।
৬. আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতাগুলোও সংযুক্ত করুন।যেমন - মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেল, অনলাইন রিসার্চ, বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শিতা।
৭. সম্ভব হলে আপনার সৃজনশীলতার কিছু নমুনা উপস্থাপন করুন। জেনে অবাক হবেন, অনেক সৃজনশীল কর্ম এখন পেশায় পরিণত হয়েছে।
৮. সর্বশেষে, আপনার রিজিউম সম্পাদনা করুন। অন্তত একবার ইন্টার্ন রিক্রুটারদের দৃষ্টিতে দেখতে চেষ্টা করুন।
লিখেছেন-
সাদিয়া আখতার
শিক্ষার্থী, মাইক্রোবাইয়োলজি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
No comments