দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

ভোট হোক উন্নয়নের ক্রীয়নক

এম এ মুহিত খান

ভোট হোক উন্নয়নের ক্রীয়নকঃ
অদ্য ২০ নভেম্বর ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শায়েস্তাগঞ্জকে দেশের ৪৯২ তম উপজেলা ঘোষণা করা হয়।হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাকে বিভক্ত করে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা,শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন, নুরপুর ইউনিয়ন ও ব্রাক্ষ্মণডুরা ইউনিয়ন নিয়া নতুন উপজেলা গঠন করা হয়।

নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার প্রথম নির্বাচন আগামী ১৮ জুন রোজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচনে প্রায় সাড়ে তেতাল্লিশ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে উপজেলার প্রথম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী হলেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আলী আহমদ ঘোড়া প্রতীকে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

মূল কথায় আসা যাক, একটি উপজেলা প্রশাসনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অন্তত সাতাশটি মন্ত্রণালয়ের অফিসের মধ্যে সমন্বয়ের দরকার।নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রধান কাজই হবে দপ্তরগুলোর স্থায়ী অফিস ও কাজের সমন্বয়ের বিধান করা।এছাড়া নবগঠিত উপজেলা হিসেবে নতুন চেয়ারম্যান ও তার অফিসকে অনেক প্রতিবিন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। নতুন উপজেলাকে পরিকল্পিত, আধুনিক ও মডেল উপজেলা শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ নজর জরুরী।

আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর রাজনীতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সংকীর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই ''প্যারোকিয়াল পলিটিক্যাল কালচার'' দিকে নজর দিলে দেখা যায়, যে দল ক্ষমতায় থাকে স্থানীয় নির্বাচনে ঐ দলের প্রার্থী পাস করলে বরাদ্দ পাওয়া সহজ ও উন্নয়ন ঘটে। জনগনের মধ্যেও এমন ই একটা বাস্তবিক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এর পেছনেও যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে, সরকার দলীয় প্রার্থী হলে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়-ঝাপ ও উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া সহজলভ্য হয়। যেমন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

ভৌগোলিকভাবে শায়েস্তাগঞ্জ একটি ''ট্রানজিট উপজেলা'' হিসেবে পরিচিত।নব সৃষ্ট উপজেলা হিসেবে এর জন্য দরকার বিশেষ উন্নয়ন বরাদ্দ ও মাস্টার প্ল্যান মাফিক অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থ ছাড়। এ বিচারে, শায়েস্তাগঞ্জের তৃণমূলের জনসাধারণের মাঝে একটা ধারণা কাজ করতাছে,যেহেতু আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সরকার দেশ পরিচালনা করছে ও এই দলের নেতৃত্বেই ইউনিয়নকে পৌরসভা এবং পৌর শহর থেকে শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। ঐ মার্কা অর্থাৎ নৌকাকেই বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সরেজমিনে উপজেলার পৌর শহরের ২, ৪, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড, ব্রাক্ষ্মণডুরা ইউনিয়নের কেশবপুর বাজার ও পুরাইকলা বাজার,নুরপুর ইউনিয়নের সুতাং বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শায়েস্তাগঞ্জের বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল তালুকদার বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে ব্যক্তি ইমেজের পাশাপাশি দলীয় প্রতীক অর্থাৎ যে দল ক্ষমতায় থাকে ঐ দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত হলে উন্নয়ন ঘটে। আর শায়েস্তাগঞ্জের মত নব সৃষ্ট উপজেলার জন্য এটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রত্যাশা হল, উপজেলাবাসী আগামী ১৮ জুন শতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এমন একজনকে নির্বাচিত করবেন।যিনি সৎ, যোগ্য, ক্লিন ইমেজের ও সরকারের সাথে ভাল যোগাযোগ রক্ষা করে উন্নয়ন ত্বরাণিত করবেন। তিনি নব সৃষ্ট শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাকে পরিকল্পিত,আধুনিক ও মডেল উপজেলায় রুপান্তরিত করতে পারবেন।

লিখেছেন- 
এম এ মুহিত খান, 
উপদেষ্ঠা ও সাবেক সভাপতি, 
ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব শায়েস্তাগঞ্জ (ইউসাস)

প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। দ্যা ডেইলি এডুকেশন-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য দ্যা ডেইলি এডুকেশন কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

No comments

Powered by Blogger.