দ্যা ডেইলি এজুখেইশনে বিজ্ঞাপন দিতে কল করুন

+88 01521 20 70 54 (Call for Ad)

ট্রেন্টব্রিজ, নটিংহ্যাম বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার সাথে

বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ট্রেন্টব্রিজ | শাকিল আহমদ 

ট্রেন্টব্রিজ, নটিংহ্যাম বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার সাথে

- শাকিল আহমদ

ট্রেন্ট ব্রিজে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ২টি ম্যাচ খেলছে, মোহাম্মদ আশরাফুলের ঐতিহাসিক ৫২ বলে ৯৪ রান এই ট্রেন্টব্রিজে । ২০০৫ সালের বাংলাদেশ - অস্ট্রেলিয়া - ইংল্যান্ডের নেস্টওয়েস্ট সিরিজের ঐ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৩৯১ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ অল আঊট হয় মাত্র ২২৩ রানে । পরের ম্যাচ ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরের প্রথম ম্যাচ, বাংলাদেশের ২৫০ রানের বিপরীতে ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে ৬ উইকেটে ২৯ বল বাকি থাকতেই । বাংলাদেশের জন্য ট্রেন্ট ব্রিজ এখনও জয়হীন থাকলেও অস্ট্রেলিয়াও যে এইখানে অনেক ভাল করেছে তা নয় । অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত ট্রেন্টব্রিজে খেলেছে ৯ ম্যাচ, ৪ টা জয়, ৪টা হার আর একটা ম্যাচ ইংল্যান্ডের সাথে হয়েছে ট্রাই । তবে এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে একটা ম্যাচে এইখানে জয় পেয়েছে, ১৫ রানে । অস্ট্রেলিয়ার ২৮৮ রানের বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচে ২৭৩ রানে শেষ করে । বাংলাদেশে দলের কাছে মাঠটা এতটা পরিচিত না হলেও তামিম ইকবালের কাছে খুব একটা অপরিচিত নয় । কারণ রবিন হুডের শহর হিসাবে পরিচিত নটিংহ্যামের নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে ২০১১ সালে কাউন্টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন ।

ক্রিকেট বিশ্বে যতগুলা হাই স্কোরিং ম্যাচ গ্রাউন্ড হিসাবে পরিচিত তার মধ্যে ট্রেন্টব্রিজ প্রথম কয়েকটির মধ্যেই পরে । ওডিআই ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৮১ রান এই মাঠেই হয়েছে । যদিও আমাদের জন্য আনন্দদায়ক ব্যাপারটা হইল এই ৪৮১ রান করা হইছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই । রাউন্ডারি লাইন ব্যাটিং পিচ থেকে অনেক ছোট হওয়ায় এই মাঠটা ছক্কা মারার জন্য আদর্শ । এইদিকে দিয়ে অবশ্যই আমাদের জন্যই ভাল । গতম্যাচে মাশরাফির কথা অনুসারে ৬ রান তো ৬ রানই , এইটা ছোট বা বড় যে মাঠেই মারা হোক । বরং আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য ও হইছে ভাল । তারাও এর সুবিধা নিতে পারবে যা বাংলাদেশ খুব ভাল ভাবেই প্রমাণ করে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর এই বিশ্বকাপে যত দল খেলছে সব দলের সাথেই বাংলাদেশ ওডিআই সিরিজ খেলেছে, শুধু ম্যাচ পাইনি অস্ট্রেলিয়ার সাথে । আরো মজার জিনিস হইল বাংলাদেশের সাথে রঙ্গিন পোশাকের ৫০ ওভারে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া শেষ দ্বি-পাক্ষিক ম্যাচ খেলেছে ২০১১ সালে । খুব অদ্ভুত কারণে বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রেলিয়া খুব একটা খেলতে আগ্রহ দেখায় না । এর জন্যই হয়তো নিজেদের দেশে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে খেলেছে ২০০৮ সালে । সেই সিরিজ খেলা তামিম , সাকিব , মাশরাফি এখনও বাংলাদেশ দলের কান্ডারি বিপরীতে একমাত্র শন মার্সের আছে সেই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা । এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ - অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলেছে ২০ ম্যাচ, এর মধ্যে জিতেছে ১ টা হেরেছে ১৭টা ফলাফল হয়নি ২টা ।

পাঁচ বিশ্বকাপ জয়ী দল অস্ট্রেলিয়া । একসময়ের অজয়ে অস্ট্রেলিয়া ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর ৮১টা ওডিআই খেলেছে, এর মধ্যে জিতেছে ৪১টা হেরেছে ৩৭টা, ফলাফল হয়নি ৪টি । এই সময় বাংলাদেশ খেলেছে ৬৬টা ম্যাচ, জিতেছে ৩৬টা ম্যাচ হেরেছে ২৭টা, ফলাফল হয়নি ৩টার। ম্যাচ জিতার পারসেন্টিজ হারে বাংলাদেশ এগিয়ে । এই ৮১টা ম্যাচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়েছে ২৪টা ম্যাচে যার মধ্যে ২১টা ম্যাচেই তারা হেরেছে । এর মধ্যে যে সব ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ৮ উইকেট ফেলেনো গেছে এমন ৩৮টা ম্যাচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ১০টা, হেরেছে ২৮টা । ৭টা উইকেট ফেলানো গেছে এর মধ্যে ৫০টা ম্যাচে ৩২টা ম্যাচই অস্ট্রেলিয়া হেরেছে । সাম্প্রতিক স্টাট বলে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট বেশী করে ফেলাও, অস্ট্রেলিয়াকে হারাও । অস্ট্রেলিয়ার সাথে জিতার জন্য তাই এগ্রেসিভ বোলিং করতে হবে । আমি খুব নিশ্চিত ভাবেই মনে করি টিম ম্যানেজম্যান্ট এই ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করে রেখেছেন । লাস্ট ম্যাচে বেঞ্জ থেকে লিটন দাস টিমে এসে দলকে জিতাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন । ঠিক একই ভাবে এখনও ম্যাচ না খেলা রুবেল হোসেন বা আবু জাইদ রাহি এগ্রেসিভ অপশন হিসাবে আসলে অবাক হব না আবার যারা আছেন তাদের ক্যাপাবিলিটির উপর ভরসা রাখতে হবে । ব্যাটসম্যানরা তো দুই ম্যাচ জিতাইল এখন বোলারদের ম্যাচ জিতানোর পালা।

No comments

Powered by Blogger.