নাসির উদ্দীনকে বদলির ষড়যন্ত্র রোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দীন আহম্মদকে বদলির গভীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করুন।
আসসালামুআলাইকুম
আশা করি, আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। কিন্তু আমরা ময়মনসিংহবাসী ভাল নেই। কারন আমাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একদল কুচক্রী মহল।
তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হাসপাতালের পরিবেশে আমূল পরিবর্তন আনেন। যা গোটা বাংলাদেশের জন্য নজির হয়ে গেছে।
তিনি যোগ দিয়েই হাসপাতালের অভ্যন্তরে সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে একের পর এক স্টেপ নিতে থাকেন।
তিনি হাসপাতালের ভিতরেই সকল পরিক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। এতে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে তাদের কাছে পরিচালক মহোদয় শত্রু হয়ে যায়।
তিনি হাসপাতাল থেকেই সকল ঔষুধ সরবরাহ করার নির্দেশ দেন। এতে করে গরীব ও মেহনতী মানুষগুলো যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমনি বিভিন্ন ফার্মেসি বা ঔষধ সরবরাহকারী চক্র তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়েছে।
তাছাড়া তিনি দালাল চক্রকে বিতাড়িত করেন। এতে করে দালাল চক্রও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
তিনি কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেন বা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন। তাই তারাও তার শত্রুতে পরিণত হয়।
এছাড়া হাসপাতালে খাবারের মান উন্নয়ন করা হয়।
আজ পুরো ময়মনসিংহবাসী তার জয়গান করছে।পুরো বাংলাদেশে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি আপনার পথে হাঁটছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি তার জায়গায় তিনি সফলও হয়েছেন।
কিন্তু কিছু অসাধু লোক সেটা মেনে নিতে পারছে না।
তাই এসব কুচক্রীমহল একত্র হয়ে তাকে বদলির জন্য কোটি টাকার ফান্ড গঠন করে। হাসপাতালে নৈরাজ্যজনক পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
আপা, আমরা জানি, আপনি কখনও অন্যায়ের পক্ষে আপোষ করেন না, সৎ ও ন্যায়ের কান্ডারী আপনি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে আপনি দৃঢ় সংকল্প। আর সেই সোনার বাংলা গড়ার অংশ হিসেবে যদি কেউ হেরে যায় তাহলে হেরে যাবেন আপনি, হেরে যাবে বাংলাদেশ।
তাই আমাদের আকুল আবেদন, স্বয়ং আপনি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কুচক্রী মহল থেকে আমাদের সবার প্রিয় মমেকহার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দীন আহম্মদ-কে রক্ষা করুন। ময়মনসিংহবাসী আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবে।
--
ইতি
শফিকুল ইসলাম,
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। দ্যা ডেইলি এডুকেশন-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য দ্যা ডেইলি এডুকেশন কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।
No comments