মুসলিম বিদ্ধেষীদের জন্য আল্লাহর হুশিয়ারি
বর্তমান যুগে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বর্তমানে নির্যাতিত এক জাতির নাম মুসলমান। পুরো পৃথিবীতে তাদের উপর আজ নির্যাতন চলছে। তবে এ নিয়ে তুরস্ক ব্যতিত অন্য কোনো দেশকে কথা বলতে দেখা যায় না। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আজ ক্ষমতার ম্যূহে পড়ে সব ভুলে গেছে। আজ যেন তাদের কাছে ক্ষমতায় ঠিকে থাকাটাই সবচেয়ে বড় কাজ।
আজ বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী ভারতে প্রকাশ্যে মুসলমানদের উপর নির্যাতন চলছে। ভারতের মুসলমানরা আজ নির্দ্বিধায় ধর্ম পালন করতে পারছে না। তারা নামাজ পড়ে টুপি মাথায় দিয়ে বের হতে পারছে না। চলে আসে তাদের উপর হামলা৷
মুসলমানদের হালাল খাবার গরুর মাংস তারা খেতে পারছে না। কেউ খেলে তাকে প্রকাশ্যেই মারপিট করা হচ্ছে। কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর নির্যাতন সবারই জানা। তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরন করা হয়েছে। যা একটি গণতান্ত্রিক দেশে কখনই কাম্য হতে পারে না।
আবার যদি চিনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যায়,ঔই দেশে প্রকাশ্যে মুসলমানদের উপর ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাদেরকে নামাজ, রোজা বা যেকোনো ইবাদত করতে দেয়া হচ্ছে না। উইঘুরসহ চীনের বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানদের অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে।
যার চিত্র দেখলে চোখে পানি ধরে রাখা যায় না।
আজ কোথায় জাতিসংঘ? কোথায় বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান? সবাই আজ নিরবে বাহবা দিচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো মুসলমানরাই নিশ্চুপ।
কিছুদিন আগে মায়ানমার যে জাতিগত নিধন চালালো যেখানে মুসলমানদের প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে লাখ লাখ শরনার্থী জীবন নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এখন পর্যন্ত কার্যকর কিছুই করতে পারে নি বা করেনি জাতিসংঘ।
আজ প্রকাশ্যে বিভিন্ন মসজিদে হামলা চালানো হচ্ছে। যার উজ্জ্বল উদাহরণ ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা। যেখানে কয়েকজন বাংলাদেশীসহ অনেকের নির্মম প্রাণহানি ঘটে। এভাবে সমানে ছোট খাটো অনেক খবর পাওয়া যায়। নামাজরত মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতে। কিন্তু এগুলো কোনো পত্রিকায় আসে না। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে আমাদের জানার সুযোগ হয়। নয়ত অজানাই থেকো যেত।
আজ দখলদার ইহুদীরা ফিলিস্তিনিদের উপর যে বর্বর হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে তাতে বিশ্ব প্রকম্পিত হচ্ছে। মায়ের সামনে সন্তানকে হত্যা করা হচ্ছে বা সন্তানের সামনে পিতা মাতাকে। মিসাইল বোমা হামলার মাধ্যমে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের প্রাণনাশসহ ঘরবাড়ি বিনষ্ট হচ্ছে। আজ রক্তাক্ত শিশুকে দেখে আমার বুক ক্ষেপে ওঠে। অঝর ধারায় চোখ দিয়ে পানি পড়ে। তাদেরকে খোলা আকাশের নিচে ইফতার করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে খাবারের কি যে হাহাকার!
শত কিছুর পরেও পৃথিবী নিশ্চুপ। আজ সারা বিশ্বে মুসলিম বিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চরম আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এটা দুঃখের বিষয় যে, এদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে কোনো লেখনি দেখিনি।
কিন্তু আজ মুসলমানরা তাদের নিজেদের একটা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কথা বললেই হয়ে যায় সাম্প্রদায়িক। আজ টেলিভিশনগুলোতে এসব নিয়ে কোনো টকশো হয় না, হয় না কোনো কথা বার্তা ।
কিছুদিন হলো ইসরায়েল ফিলিস্তিনে আযানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সব কিছুই হয়ত আল্লাহতায়ালা নিরবে সহ্য করেছেন কিন্তু আযানের উপর নিষেধাজ্ঞা তিনি যেন আর মানতে পারলেন না। সাথে সাথে ইসরাইলে দেখা দেয় ভয়াবহ দাবানল। যার ফলশ্রুতিতে হাজার হাজর বন ও ঘরবাড়ি ধ্বংস হচ্ছে। ৪৮০ টি বিমান কাজ করেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না দাবানল। ইতিমধ্যে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়।
মুসলমান এমন এক জাতি তাদের উপর এত নির্যাতন করার পরেও ইসরাইলের দাবানল নিয়ন্ত্রণে ফিলিস্তিনিরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
উক্ত ঘটনা নিঃসন্দেহে ইসরাইলের উপর আল্লাহর গজব। তাই মুসলিম বিদ্বেষীরা মনে রেখো, মুসলমানদের আল্লাহ আছে। মুসলমানদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।
সাবধান হয়ে যাও মুসলিম বিদ্বেষী....নয়ত আল্লাহর গজবের জন্য প্রস্তুত হও। অচিরেই তোমার দিকে আসবে আল্লাহর আযাব।
লিখেছেন-
শফিকুর ইসলাম,
শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
ইমেইল- Shafikulnetrakona@gmail.com
প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। দ্যা ডেইলি এডুকেশন-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য দ্যা ডেইলি এডুকেশন কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।
No comments