ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
ঘুম হচ্ছে একটি মৌলিক প্রয়োজন, অনেকটা খাওয়ার মতএবং শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার মত। সারা জীবন ব্যাপিয়া ঘুম হচ্ছে ভাল স্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য ভিত্তির একটি অপরিহার্য অংশ। ঘুমের সমস্যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, উৎপাদনশীলতা হ্রাসএবং এমনকি মৃত্যুর একটি বড় ঝুঁকির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থার সময় মহিলাদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটি গর্ভবতী মহিলাদের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। গর্ভস্থ সন্তান ধীরে ধীরে বৃ্দ্ধি পায়, যা গর্ভবতী মহিলার একটি সুস্থ ঘুমের সুবিধাজনক অবস্থান কঠিন করে তোলতে পারে। স্বাভাবিকের চেয়ে একজন গর্ভবতী মহিলার অধিক ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে।
এই সমস্যাটি একজন পুরুষের মধ্যেও পরিলক্ষিত হয়। কেউ যখন পর্যাপ্ত ঘুমাতে না পারে এটি তখন ঘটে ও শরীরের নানা সমস্যা ঘটায়।
👉👉কিছু কারণ রয়েছে যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়
১। অহেতুক দুশ্চিন্তা করা।
২। এমন কিছু গ্রহণ করা যা অনিদ্রা সৃষ্টি করে।
৩। যথাসময়ে না ঘুমানো।
৪। কিছু শারীরিক সমস্যা।
৫। কিছু সংখ্যক ঔষধ।
👉👉ঘুমের কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
১। কফি বা চায়ের মত ড্রিংকস সীমিত করতে হবে বা কমাতে হবে, কারণ এটি ক্যাফেইন ধারণ করে।
২। বিছানায় যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রচুর তরল পান বা বেশি পরিমানে খাওয়া পরিহার করতে হবে।
৩। প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে।
৪। বিছানায় যাওয়ার ঠিক পুর্বে ব্যায়াম করা বর্জন করতে হবে।
৫। বিছানায় যাওয়ার পুর্বে শিথিল হওয়ার জন্যে হালকা গরম ক্যাফেইন মুক্ত ড্রিংকস যেমন দুধ নিতে হবে।
৬। অন্য কোন মানসিক ব্যাধির কারনে ঘুমের সমস্যা দেখা দিলে একজন ভালো সাইকাইঅ্যাট্রিস্টের সাথে আলোচনা করতে হবে।
৭। একজন চিকিৎসক কিংবা ফার্মাসিস্টের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষধ খাওয়া মোটেই উচিত হবে না, কারণ এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দিনেরবেলায় স্বল্পনিদ্রা নিতে হবে যাতে রাতের বেলায় ঘুমের কোন অসুবিধা না হয়।
👉👉বয়স অনুযায়ী ঘুমের হিসাব
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শপত্র অনুযায়ী
👉৬ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে।
👉 ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে কারও কারও নিয়মিত ৭ ঘণ্টা ঘুমালেও চলতে পারে। আর বয়ঃসন্ধির সময়টাতে অনেকেরই প্রায় ১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ১১ ঘণ্টার চেয়ে বেশি ঘুমালে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
👉১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, তবে কারও কারও নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ঘুমেও সব ঠিকঠাক থাকতে পারে। ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা। কিন্তু অনেকেই দিনের বেলায় ভাতঘুম দিয়ে রাতে নিয়মিত ৫ ঘণ্টাতেও দিব্যি ভালো থাকতে পারেন।
সূত্র : অনলাইনের বিভিন্ন সোর্স।
No comments