পুরুষ নির্যাতনের কোন আইন আছে বাংলাদেশে? নেশায় আসক্ত, উচ্চশিক্ষিত ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বেঁকে যাওয়া পরকিয়া করা এক নারী।
দেশে ও বিদেশে তার একাধিক বেডফ্রেন্ডের অভাব নাই। নেশায় আসক্ত, উচ্চশিক্ষিত ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বেঁকে যাওয়া পরকিয়া করা এক নারী।
এই আত্মহত্যার পিছনে তারা কি দায়ী নয়?
তাদের কি ফাঁসি হওয়া উচিৎ নয়?
পুরুষ নির্যাতনের কোন আইন আছে বাংলাদেশে?
বিবাহিত স্ত্রী একাধিক পুরুষের সাথে ব্যভিচার করে বেড়াচ্ছে। সমস্ত প্রমাণ স্বামীর হাতে, আছে ব্যভিচারিণীর নিজ মুখের স্বীকারোক্তির ভিডিও। কিন্তু বাংলাদেশের দণ্ডবিধি দাম্পত্য বিশ্বাস ও ভালবাসার সাথে এই ভয়াবহ প্রতারণার কোন প্রকার শাস্তি থেকে ওই নারীকে অব্যাহতি দিয়েছে। ব্রিটিশ আমলের ওই মান্ধাতার আইনের ৪৯৭ ধারা এখনো ধরে নিচ্ছে সেই ব্যভিচারী স্ত্রী পুরুষের প্রলোভনের শিকার; সেকশনেই উল্লেখ করে দেয়া আছে সেই নারীকে ব্যভিচারের সহযোগী হিসেবে দায়ী করা যাবে না।
একই ঘটনায় স্ত্রীর ফ্যামিলির সোশ্যাল স্ট্যাটাস রক্ষার চাপে বিয়ের দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা! বিচ্ছেদ চাইলেই ঠুকে দেয়া হবে অনাদায়ী দেনমোহরের মামলা- পরিশোধের সাধ্য নেই, যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা, সামাজিক গঞ্জনার খড়গ তো ঝুলছেই!
আলোচ্য ঘটনায় স্বামীটি কোন পথে যাবে? স্ত্রীকে খুন? সেটি যে মৃত্যু দণ্ডনীয় অপরাধ!
অতঃপর আইন ও সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সে নিজেকে খুন করার পথটাই বেছে নিল। আইন এটিকে 'আত্মহত্যা' বলছে। আসলে কি তাই?
এই হচ্ছে আজ সকালে ওপারে চলে যাওয়া ডা. Mustafa Murshed Akash এর জীবন-গল্প।
আত্মহত্যা সমাধান নয় কিন্তু আমাদের চাপিয়ে দেয়া নিয়ম-কানুনকে সে মরে গেল কিন্তু জবাব দিল। আমরা কি দায়ী নই?
৩৫ লাখ টাকা দেনমোহর,
মারলেও ফাঁসি,
তালাক ও হবে না তবে কি সমাজের উচ্চশিক্ষিত একজন সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষ এসব মেনে নিবে?
নিয়েছে ১ বছর, সংসারও করেছে। বিয়ের আগেও ওই মেয়ে রাত কাটাত। জেনেও বিয়ে করতে বাধ্য ছিল শুধু বিয়ের সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে বলে। আবেগে ঠাসা আমাদের মন, রক্ত-মাংসের দেহ তবে কত আর চোখের সামনে এসব মানা যায়?
অভিমান করেই চলে গেল।
লিখেছেন-
মুহাম্মদ সাদ্দাম হোসাইন
শিক্ষার্থী- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
( Dr. mostafa murshed akash এর সুইসাইড নোট হুবহু)
আমার সাথে তানজিলা হক চৌধূরী মিতুর ২০০৯ সাল থেকে পরিচয় প্রচন্ড ভালবাসি ওকে । ও নিজেও আমাকে অনেক ভালবাসে আমরা ঘুরে বেড়ায় , প্রেম করে বেড়ায় আমাদের ভালবাসা কম বেশি সবাই জানে। অনেকে বউ পাগলাও ডাকত।২০১৬ তে আমাদের বিয়ে হয় বিয়ের কয়েকদিন আগে জানতে পারি কিছুদিন আগে শোভন নামে চুয়েটের ০৮ ব্যচের এক ছেলের সাথে ও হোটেলে রাত কাটায় আর কত কি লজ্জা লাগছে সব লিখতে।ততদিনে সবাইকে বিয়ের দাওয়াত দেওয়া শেষ আমাকে যেহেতু চট্রগ্রামের সবাই চিনে তাই বিয়ে কেনসেল করতে পারিনি লজ্জাতে। ওর মোবাইল এ দেখি ভাইবারে দেখতে পাই মাহবুব নামে কুমিল্লা মেডিকেলের ব্যচম্যটের সাথে হোটেলে সেক্সের ছবি শতশত ছবি। আমিতো বেচে থেকেও মৃত হয়ে গেলাম। তারপর ক্ষমা চাইল শবে কদরের রাতে কান্না করে পা ধরে আর কখনো এমন হবেনা। আমিও ক্ষমা করে দিয়ে ১বছর ভালভাবেই সংসার করলাম। তারপর ও দেশের বাইরে আমেরিকা গেল মাঝখানে একবার ঈদ পালন করতে আসল ,সেপ্টেম্বরে ২০১৮ আবার চলে গেল ইউএসএমএলই এর প্রিপারেশন নিচ্ছিল সাথে ফেব্রুয়ারীতে ২০১৯ এ আমার ইউএস এ যাওয়ার কথা। জানুয়ারী ২০১৯ জানতে পারি ও রিগুলার ক্লাবে যাচ্ছে মদ খাচ্চে প্যটেল নামে এক ছেলের সাথে রাত কাটাচ্ছে । আমি বারবার বলছি আমাকে ভাল না লাগলে ছেড়ে দাও কিন্তু চিট করনা মিথ্যা বলনা। আমার ভালবাসা সবসময় ওর জন্য ১০০% ছিল।আমি আর সহ্য করতে পারিনি ।আমাদের দেশেতো ভালবাসায় চিটিং এর শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম আর আমি চির শান্তির পথ বেচে নিলাম।তোমাদেরও বলছি কাউকে আর ভাল নালাগলে সুন্দর ভাবে আলাদা হয়ে যাও চিট করনা মিথ্যা বলনা।আমি জানি অনেকে বিশ্বাস করবেনা এত অমায়িক মেয়ে আমিও এসব দেখে ভালবেসেছিলাম।ভিতর বাহির যদি এক হত।সবাই আমার দোষ দিবে সবকিছুর জন্য তাই ব্যখ্যা করলাম।
আমার শাশুড়ী এর জন্য দায়ী এসবের জন্য, মেয়েকে আধুনিক বানাচ্ছে।একটু বেশি বানিয়ে ফেলেছে। উনি চাইলে এখনো সমাধান হত।
ও মা তুমি মাফ করে দিও তোমার স্বপ্ন পূরন করতে পারলামনা।মায়ের ভালবাসার কখনো তুলনা চলেনা।
বারবার বলছি ভাল না লাগলে আলাদা হয় যাও চিট করনা ,মিথ্যা বলনা বিশ্বাস ভাঙ্গিওনা।
হাজার হাজার ছবি আছে আরো খারাপ খারাপ দিলামনা যারা বিলিভ করবে এতেই করবে , না করলে নাই।এই ৯ বছরে বয়ফ্রেনড স্বামী স্ত্রীর মত আবার সাথে সবি করে গেল।
ও আমাকে আর কি ভালবাসল ? কিসের বিয়ে করল?
।আমি শেষ পর্যন্ত চাইছি সব চুপ রেখে সমাধান করে অকে নিয়ে থাকতে।আমার শশুড় আর শাশুড়ী কে বারবার বলছি উনারা সমাধান করতে পারত! আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ৯ টা বছর যাকে ১০০% ভালবাসছি, ওকে প্ররোচনা দিছে মইন মিথি নামে দুই ফ্রেন্ড ওর মা বাবা আমাকে মানসিক কষ্ট দিয়ে মারছে।আমাই এই বেইমানি মেনে নিতে পারিনাই।তারপর ও ভুলে আমি সুন্দর সংসার করতে চাইছি আমার শাশুড়ি শশুড় আর বউ নামের কলংক করতে দিলনাআমাকে প্রতি নিয়ত প্রেশার দিয়ে গেছে আমার বউ আমার মার নামে যা তা যা তা বলে গেছে। ।আমাকে ভাল না লাগ্লে ছেড়ে চলে যাইতে বলছি ১০০ বার।আমি বোকা ছিলাম তুমি সুখে থেক।অনেকেকে ওর ফ্যান বিলিভ করবেনা আমিঞ্জানি তবে এটাই সঠিক মরার আগে কেউ মিথ্যা বলেনা আর বাইরে থেকে মানুশের ভিতরের চেহারা বুঝা যায় না। ও সুন্দরী, পড়াই ভাল, গান পাড়ে সত্য কিন্তু ও ভাল অভিনেত্রী ভাল চিটার।যাদের ঈচ্ছা বিলিভ কবে যাদের ঈচ্ছা নাই করবেনা।তবে কাউকে ভালবেসে চিটার গিরি করনা।
নোটঃ ঠিক এই মেয়েটাকেই যদি স্বামী পিটাইতো/হত্যা করতো/ডিভোর্স দিতো,তাহলে নারী সংগঠনের সেই ১০১ নেত্রী রাস্তায় 'মান'এর জন্য মানব বন্ধন করতো। কুষ্টিয়ায়,ময়মনসিংহ সহ অনেক জায়গায় মামলা হতো।
দেশের আইনের সংশোধন চাই,
পরিবর্তন করাটা অনেক জরুরী।
প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। দ্যা ডেইলি এডুকেশন-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য দ্যা ডেইলি এডুকেশন কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।
প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। দ্যা ডেইলি এডুকেশন-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য দ্যা ডেইলি এডুকেশন কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।
No comments