সাধারণ বিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণী ) সপ্তম অধ্যায় (অম্ল,ক্ষারক ও লবণের ব্যবহার) MCQ(First-half)
১. দুর্বল এসিড – যে সকল এসিড পানিতে আংশিকভাবে বিয়োজিত হয় অর্থাৎ যতগুলো এসিডের অণু থাকে তার সবগুলো হাইড্রোজেন আয়ন(H+) তৈরি করে না। জৈব এসিডসমূহ দুর্বল এসিডের অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণঃ এসিটিক এসিড(CH3COOH),সাইট্রিক এসিড(C6H8O7) ও অক্সালিক এসিড(HOOC-COOH) । ব্যতিক্রমঃ কার্বোনিক এসিড(H2CO3) ইহা জৈব এসিড নয় কিন্তু দুর্বল এসিড।
২. শক্তিশালী এসিড – যে সকল খনিজ এসিড পানিতে পুরোপুরি বিয়োজিত হয় অর্থাৎ যতগুলো এসিডের অণু থাকে তার সবগুলো হাইড্রোজেন আয়ন(H+) তৈরি করে।উদাহরণঃ সালফিউরিক এসিড(H2SO4),নাইট্রিক এসিড(HNO3) ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড(HCl)
৩. ভিটামিন সি/এসকরবিক এসিড – ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
৪. আম,জলপাই ইত্যাদির আচার সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয় – ভিনেগার বা এসিটিক এসিড(CH3COOH)
৫. বোরহানি বা দই –এ বিদ্যমান এসিডের নাম – ল্যাকটিক এসিড ; হজমে সহায়তা করে ।
৬. পাউরুটি ফোলাতে ব্যবহৃত হয় – বেকিং সোডা। তাপ দিলে বেকিং সোডা ভেঙে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়, যা পাউরুটি ফুলিয়ে তোলে।
৭. টয়লেট পরিষ্কারকের মূল উপাদান – শক্তিশালী এসিড HCl,HNO3,H2SO4
৮. সৌর প্যানেল, IPS(Instant Power Supply) বা গাড়িতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় তার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান – সালফিউরিক এসিড
৯. বোলতা/ভীমরুল ও বিচ্ছুর হুলে থাকে – হিস্টামিন নামক ক্ষারক।মলম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ভিনেগার বা বেকিং সোডা যেগুলো এসিড। এসিড ক্ষারক বিক্রিয়ায় জ্বালা প্রশমিত হয়।
১০. সার কারখানায় রাসায়নিক সার যেভাবে তৈরি হয় –
ফসফরিক এসিড[H3(PO4)] থেকে – অ্যামোনিয়াম ফসফেট [(NH4)3 PO4]
সালফিউরিক এসিড থেকে – অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH4)2 SO4]
নাইট্রিক এসিড থেকে – অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট NH4 NO3
১১. এসিড ছোড়ার শাস্তি – যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত (নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী)
১২. pH কী – কোনো একটি জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রার[H+] নেগেটিভ লগারিদমকে pH বলে। pH এর মান কোনো দ্রবণের অম্ল ,ক্ষারক বা নিরপেক্ষতা নির্দেশ করে। যেমনঃ
কোনো দ্রবণের pH = ৭ হলে তা নিরপেক্ষ জলীয় দ্রবণ বা বিশুদ্ধ পানি হবে ।
কোনো দ্রবণের pH < ৭ হলে তা অম্লীয় বা এসিডীয় দ্রবণ ।
কোনো দ্রবণের pH > ৭ হলে তা ক্ষারীয় দ্রবণ।
১৩. আমাদের ধমনীর রক্তের pH – প্রায় ৭.৪(~০.৪ হেরফের হলে মারাত্মক বিপর্যয় এমনকি মৃত্যু হতে পারে)
১৪. জিহ্বার লালার সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে প্রয়োজনীয় pH হলো – ৬.৬
১৫. আমাদের পাকস্থলীতে খাদ্য হজম করতে দরকারি pH হলো – ২ (~০.৫ হেরফের হলে বদহজম সৃষ্টি করে)
১৬.আমাদের প্রসাবের স্বাভাবিক pH হলো- ৭ এর কম
১৭. মাটির pH – ৪ থেকে ৮ হয়ে থাকে।
১৮. নবজাতক শিশুর ত্বকের pH – ৭ এর কাছাকাছি
১৯. এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় – নিরপেক্ষ পদার্থ লবণ এবং পানি
২০. ক্ষারক লাল বর্ণের লিটমাস কাগজের রং পরিবর্তন করে নীল করে।
ক্ষারক কমলা বর্ণের মিথাইল অরেঞ্জের রং পরিবর্তন করে হলুদ করে।
ক্ষারক লাল বর্ণের মিথাইল রেডের রং পরিবর্তন করে হলুদ করে।
ক্ষারক বর্ণহীন ফেনলফথ্যালিনের রং পরিবর্তন করে গোলাপি করে; ফেনলফথ্যালিন(Phenolphthalein) একটি বর্ণহীন দুর্বল এসিড।
thanks
ReplyDeleteWelcome. Stay with The Daily Education.
ReplyDelete