'ইংরেজি নববর্ষ'-এর সাথে ইংরেজদের সংস্কৃতির বা ঐতিহ্যের বিশেষ কোনো মিল নেই
'বাংলা নববর্ষ'-এর সাথে যেমন বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য জড়িত; কিন্তু কথিত 'ইংরেজি নববর্ষ'-এর সাথে ইংরেজদের সংস্কৃতির বা ঐতিহ্যের বিশেষ কোনো মিল নেই। বাংলা সালকে আমরা বলি বঙ্গাব্দ; আর কথিত ইংরেজি সালকে আমরা বলি খ্রিষ্টাব্দ। ব্যাপারটা কী!
জানুয়ারি ১ এর বছরের শুরু হয়ে ওঠা:
১৫৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ:
পুরাতন রোমান ক্যালেন্ডারে, মোটামুটি বসন্তের শুরু হিসেবে মার্চ ১৫-কে বছরের শুরু বিবেচনা করা হতো। কিন্তু প্রশাসনিক কিছু কারণবশত তা জানুয়ারি ১ এ সরিয়ে আনা হয়।
৪৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ:
জুলিয়াস সিজার রোমান ক্যালেন্ডারে কিছু সংস্কার সাধন করে, জুলিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন। অথচ এক্ষেত্রেও জানুয়ারি ১-ই বছরের শুরু হিসেবে থেকে যায়।
১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দ:
ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে আরো সংস্কার সাধন করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন। এতে অধিবর্ষসমূহের মধ্যে এমন নিয়মতান্ত্রিক ব্যবধান তৈরি করা হয় যাতে, এর ক্যালেন্ডারের গড় এক বছর (৩৬৫.২৪২৫ দিন প্রায়) এক সৌর বছরের (৩৬৫.২৪২২ দিন প্রায়) যথাসম্ভব নিকটবর্তী হয়। সৌর বছর বলতে সূর্যকে সম্পূর্ণ একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর যে সময় লাগে, তা বোঝানো হচ্ছে।
খ্রিষ্টাব্দ কী?
যিশুখ্রিষ্টের আবির্ভাব পরবর্তী জানুয়ারি ১ থেকে ১ সাল গণনা করা শুরু হয়; যাকে আমরা বাংলায় খ্রিষ্টাব্দ বলি। অনেকসময় AD (Latin: Anno Domini, English: In the year of the Lord) বা CE (Christian Era) দ্বারা এটি সূচিত হয়।
অন্যদিকে যিশুখ্রিষ্টের আবির্ভাবের পূর্ববর্তী অব্দসমূহকে BC (Before Christ) বা BCE (Before Christian Era) দ্বারা সূচিত করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ আর ১ খ্রিষ্টাব্দের মাঝে ০ খ্রিষ্টাব্দ বলে কোনো ব্যাপার নেই।
এখন সংশয়ের ব্যাপার হলো, ধারণা করা হয় যিশুখ্রিষ্টের জন্ম ৪ বা ৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে হয়েছিল। যা উপর্যুক্ত ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। এখানে আবার অন্য ঘোলাটে ইতিহাস রয়েছে।
কৃতজ্ঞতা - তন্ময় দত্ত
-
সচেতনতা
অনেকেই তারিখ লিখতে শেষে ইংরেজির সংক্ষেপ ইং লেখেন ।এটা ভুল । কারণ ইংরেজি সাল বলতে কিছুই নেই। আমরা যেটাকে ইংরেজি সাল বলি সেটি হলো গ্রেগরিয়ান সাল বা খ্রিস্টীয় সাল । সুতরাং তারিখটা সঠিক লিখতে শেষে খ্রি. লিখতে হবে ; ইং লেখা যাবে না ।
যেমন : ১/১/১৯ খ্রি.
No comments